রাজারহাটে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ

- আপডেট টাইম : ০২:২০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
- / ৩২৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক
রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মনোয়ারা বেগম (৪৫) পিতা মৃত কছর উদ্দিন সাং ফুল খাঁ,
বিগত ২২ বছর পূর্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা নাসির আলম এর শহীদ আমার সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আমার স্বামীর ঘর সংসার করা কালে একটি ছেলে সন্তানের জননী হই। ছেলে মনজুরুল ইসলাম (১৯)বিবাদী আনারুল ইসলাম আনা(৩৫) রিপন মিয়া (৩০) উভয় পিতা-মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির আলম। জায়েদা বেগম (৫৬) স্বামী মৃত্যু বীর নাসির আলম। বিবাহের পর হইতে সকল বিবাদী গন আমাকে অন্যায় ভাবে মারপিট সহ শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করেন। পরবর্তীতে পরে আমার ছেলে কে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসে অবস্থান করিতে থাকি। আমার স্বামী আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করত। গত ১৬/৯/২০২০ইং আমার স্বামী মারা যায়, সংবাদ পাইয়া আমি আমার স্বামীকে দেখতে গেলে বিবাদী গণ বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করলে আমি ভয়ে চলে আসি। আমার স্বামী রেখে যাওয়া সকল সহায়-সম্পদ বিবাদী গন নিজের আয়ত্তে নেয় এবং আমাকে বঞ্চিত করিবে মর্মে এলাকায় বলাবলি করে। এর প্রেক্ষিতে গত ৬/১০/২০২০ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সমাজসেবা অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে ওয়ারিশ সূত্রে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আবেদন করি।
গত ১২/১০/ ২০২০ইং তারিখ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজে উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে আমাকে চিঠি প্রদান করিলে আমি সমাজসেবা অফিসে হাজির হই। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মশিউর রহমান মন্ডল মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বিষয়ে মৌফিক ভাবে বলেন যেহেতু বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির আলমের ২ জন স্ত্রী সন্তানাদী রয়েছে, সেহেতু উভয় পরিবার ও ভাতা ভোগ করিতে পারিবেন। ঐদিন এমন আশ্বাস পাওয়ার পর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরে যাই পরে গত ২৮/৩/২০২০ইং তারিখ ৬ নং উমর মজিদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরদার বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে আমাকে এককালীন ২০ হাজার টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নেওয়ার পায় তারা করে। কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত হয়নি।
এরপর দীর্ঘ সাত মাস গত হয়ে গেলে পুরো বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয় এমনকি এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার জন্য কোন ধরনের সহায়তা পাইনি। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনকি বিবাদী গন এককভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা অন্য একটি এ্যাকাউন্ড সংযুক্ত করে টাকা উত্তোলন করে এককভাবে ভোগ করিতেছেন।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ রেজাউল করিম মহাদ্বয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পূর্ণরায় বিষয়টি দেখতে বলেছি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নুরে তাসনিম মহাদ্বয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউপি পরিষদে গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তার দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা এটা এককভাবে প্রথম স্ত্রীকে অনুমোদন দিয়েছিলাম কিন্তু এখন যে অভিযোগটি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে দিয়েছেন, সেই প্রেক্ষিতে লকডাউন শেষ হলে বিষয়টি নিয়ে আবার তাদেরকে ডাকবো।