ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

২৫ হাজার টাকায় ‘ধর্ষণ’ মামলায় আপোস মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৩২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

আদালত ডেস্ক।।

আসামির সঙ্গে আপোস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি আলী হোসেনের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে আদালত। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।আদালত বলেছেন, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপোসের সুযোগ নাই। আপোসের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ঐ নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে বাদীর দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাসায় রাত ৮ টার দিকে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন ঐ নারী।মামলার এজাহারে বলা হয়, বাসা পরিবর্তনের সময় আমার স্বামীকে এক হাজার টাকা ধার দেয় আসামি। এই টাকা নেওয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাসায় আসত। আমার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।

এমতাবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপোস করে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী। সেখানে তিনি বলেছেন, আলী হোসেন পাওনা এক হাজার টাকার জন্য ভাড়া বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। যার সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর, ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপোস মীমাংসা করি। এই আপোসের কারণে আসামি পক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। অঙ্গীকারনামামূলে মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে মো. মজনু মোল্লা শুনানি করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৫ হাজার টাকায় ‘ধর্ষণ’ মামলায় আপোস মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৪:২০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

আদালত ডেস্ক।।

আসামির সঙ্গে আপোস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি আলী হোসেনের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে আদালত। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।আদালত বলেছেন, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপোসের সুযোগ নাই। আপোসের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ঐ নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে বাদীর দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাসায় রাত ৮ টার দিকে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন ঐ নারী।মামলার এজাহারে বলা হয়, বাসা পরিবর্তনের সময় আমার স্বামীকে এক হাজার টাকা ধার দেয় আসামি। এই টাকা নেওয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাসায় আসত। আমার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।

এমতাবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপোস করে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী। সেখানে তিনি বলেছেন, আলী হোসেন পাওনা এক হাজার টাকার জন্য ভাড়া বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। যার সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর, ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপোস মীমাংসা করি। এই আপোসের কারণে আসামি পক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। অঙ্গীকারনামামূলে মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে মো. মজনু মোল্লা শুনানি করেন।