ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি কালিয়াকৈরে পালিত হলো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি

২৫ হাজার টাকায় ‘ধর্ষণ’ মামলায় আপোস মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

আদালত ডেস্ক।।

আসামির সঙ্গে আপোস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি আলী হোসেনের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে আদালত। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।আদালত বলেছেন, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপোসের সুযোগ নাই। আপোসের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ঐ নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে বাদীর দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাসায় রাত ৮ টার দিকে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন ঐ নারী।মামলার এজাহারে বলা হয়, বাসা পরিবর্তনের সময় আমার স্বামীকে এক হাজার টাকা ধার দেয় আসামি। এই টাকা নেওয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাসায় আসত। আমার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।

এমতাবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপোস করে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী। সেখানে তিনি বলেছেন, আলী হোসেন পাওনা এক হাজার টাকার জন্য ভাড়া বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। যার সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর, ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপোস মীমাংসা করি। এই আপোসের কারণে আসামি পক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। অঙ্গীকারনামামূলে মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে মো. মজনু মোল্লা শুনানি করেন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি

২৫ হাজার টাকায় ‘ধর্ষণ’ মামলায় আপোস মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৪:২০:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

আদালত ডেস্ক।।

আসামির সঙ্গে আপোস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি আলী হোসেনের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে আদালত। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।আদালত বলেছেন, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপোসের সুযোগ নাই। আপোসের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ঐ নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে বাদীর দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাসায় রাত ৮ টার দিকে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন ঐ নারী।মামলার এজাহারে বলা হয়, বাসা পরিবর্তনের সময় আমার স্বামীকে এক হাজার টাকা ধার দেয় আসামি। এই টাকা নেওয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাসায় আসত। আমার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।

এমতাবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপোস করে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী। সেখানে তিনি বলেছেন, আলী হোসেন পাওনা এক হাজার টাকার জন্য ভাড়া বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। যার সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর, ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপোস মীমাংসা করি। এই আপোসের কারণে আসামি পক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। অঙ্গীকারনামামূলে মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে মো. মজনু মোল্লা শুনানি করেন।