গাজীপুরের সাংবাদিক হান্নান মোল্লা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় এডিসির রোষানলে পড়লেন।
- আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
- / ৫১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম পায়েল।।
অবশেষে ছাড়পত্র পেলেন গাজীপুরের এডিসি মসিউর রহমান। তাকে ওএসডি করা হয়েছে। তিনি এখন সিনিয়র সহকারী সচিব অর্থাৎ ইউ এন ও সমতুল্য, বানিজ্য মন্ত্রণালয়।
( গত ৩০ জুন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায় “‘বারবার বদলির আদেশ হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন গাজীপুর এডিসি মশিউর রহমান” এবং ৪ জুলাই এডিসি “মসিউর রহমানের খুটির জোর বনাম বদলির আদেশ ” শিরোনামে দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এবং আরো কয়েকটি মিডিয়াতে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও তোলপাড় শুরু হয় গাজীপুরে। )
নিজের দূর্ণীতি আড়াল করার জন্য এডিসি মসিউর রহমান ও তার অনুসারীদের অত্যাচারে হান্নান মোল্লা দিশেহারা। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
২০১৯ সালে এডিসি মশিউর রহমান এর বিরুদ্ধে নিউজ করেছিলেন হান্নান মোল্লা। দূর্ণীতি বিরুদ্ধে পত্রিকায় রির্পোট প্রকাশ করা। এবং ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইনে এডিসি মসিউরের দূর্ণীতি যত রিপোর্ট প্রকাশিত হয় তা ফেসবুকে শেয়ার করায় আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মানষিক ভাবে হয়রানি করছেন। এডিসি মসিউরের অনুসারী কিছু সাংবাদিক এবং কিছু কালো তালিকা ভুক্ত দৈনিক পত্রিকায় স্বার্থান্বেষী মহলের লোকজন আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি একজন সাংবাদিক হিসাবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। আমি দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুরে সুনামের সহিত সংবাদপত্র ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। এডিসি মসিউর রহমান জেলায় যত ভূমি অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরনের সরকারী টাকা হরিলুট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
১৮/০৫/২০১১ ইং তারিখের জয়দেবপুর থানার মামলা হয় যার নম্বর – ৬১(০৫)২০১১ এর এজাহারে এবং চার্জশিটে আমার কোন নাম নেই । (১) আসামি তারা মিয়া, (২) নং আসামি বায়েজিদ এজাহারভুক্ত এই দুইজনের নামেই চার্জশিট হয়েছে। আর একটি মিথ্যা মামলা আদালতে করেন। আদালতে অভিযোগ পত্র গ্রহন করেন। গোপনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। হান্নান মোল্লা জানতে পেরে জয়দেবপুর থানার মামলা নম্বর -৬১(০৫)১১ এর অবিকল নকল তুলিয়া, মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ২ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। পরে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গাজীপুর, আত্বসমর্পন করলে তাকে, জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন, ৯ দিন পরে জামিনে বের হয় সে।
রাজউক পূর্বাচলের ৪০০ পরিবার যারা মুল অধিবাসী তারাও প্লট পাননি। জনস্বার্থে হান্নান মোল্লা সংবাদ সম্মেলন এবং মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন হান্নান মোল্লা।
এডিসি মসিউর রহমানের যত দুনীতি
ভুমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণের বিল উত্তোলনে ঘাটে ঘাটে দুর্নীতির অভিযোগ। ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করেন গাজীপুর বারের আইনজীবী ও নামধারী সাংবাদিক সহ একটি সংঘবদ্ধ হরিলুট চক্র।
গাজীপুর জেলায় ভুমি অধিগ্রহণের বিল উত্তোলনে অনিয়ম, দুর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। সরকারি কাজের প্রয়োজনে ভুমি অধিগ্রহণের প্রকল্পের টাকা হরিলুটের ক্ষেত্রে এ সেক্টর সব দফতরকে ছাড়িয়ে গেছে। এই হরিলুট চক্রের সিন্ডিকেটের কর্ণধার এলডসি মসিউর রহমানের ও সিএ মাহমুদুল হাাসানের বেলাল্লাপনা ও অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অনৈতিক কর্মকান্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন গাজীপুর জেলার ভুমি অধিগ্রহণ শাখার প্রভাবশালী কর্মকর্তা। যিনি গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও এল, এ শাখার দায়িত্বে ছিলেন। মোঃ মশিউর রহমান দুর্নীতির বটবৃক্ষ রোপণ করার জন্য তিনি রাজস্ব দফতরকে বেছে নিয়েছেন। এল, এ, কেস নং- ০৪/২০১৮- ২০১৯ এর মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের বিল সরকারি কোষাগারে জমা রাখার জন্য। জেলা প্রশাসক গাজীপুর বরাবর আবেদন জমা ছিল উক্ত আবেদনের ফটোকপি চলমান মিছ আপীল মোকদ্দমা নং-৩২৭/১৭ তে সংযুক্ত আছে। মুল আবেদনটি এল. এ. কেস নং-০৪/২০১৮ – ২০১৯ এ সংযুক্ত আছে। অধিকতর আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অর্থাৎ যেই আপত্তির আবেদনটিতে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ১ম পুর্ন মন্ত্রী আ,ক,ম,মোজাম্মেল হক আবেদনের উপরে সুপারিশ করেন, দয়া করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখুন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর -৩ শ্রীপুর এর সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ এবং শ্রীপুর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, উপজেলার চেয়ারম্যান সহ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু “”ঘুষ পাগল “‘ মশিউর রহমান শুনানি না করেই একতরফা ভাবে ৫০% ঘুষের বিনিময়ে জালিয়াত চক্রের মুল হোতা, জুলহাস উদ্দিন সরকার কে টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেন। টাকা উত্তোলন ও করে নিয়ে গেছে ইতিমধ্যে। যেহেতু এডিসি রেভিনিউ আদালতে তিনিই বিগত ১১/০৬/২০১৯ ইং তারিখে দলিলের সঠিকতা যাচাই প্রসঙ্গে জেলা রেজিস্ট্রার কে পত্র প্রেরনের আদেশ দেন। এমনকি জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রতিবেদন ও বিগত ১৯/০৬/২০১৯ ইংরেজি তারিখে এডিসি রেভিনিউ দফতরে প্রেরণ করেন। উক্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ্য করেছেন বিগত ১২/০৯/২০১৭ ইং তারিখের সহি মোহরী নকলটির সাথে রেকর্ড পত্রের সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি মর্মে সাব- রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত। অর্থাৎ যেই আপত্তির মুল বিষয় ছিল, বিগত ২০১৭ সালে মৃত বছির সরকারের ছেলে জুলহাস উদ্দিন সরকার গং ২০/০৪/১৯৭২ সালের ৬০০৮ নম্বর মুল দলিলের টেম্পারিং/ ঘষামাজা করিয়া, একই আদালতকে ভুল বুঝাইয়া ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। উক্ত দলিলের ফটোকপি উক্ত মোকদ্দমার নথিতে সংযুক্ত আছে ইহা প্রমাণিত হওয়ায় পরে জি, এম, পি সদর থানায়, প্রতারণা /জালিয়াতির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়, মামলা নং- ৪৫(০৮)২০১৯ তাং- ২০/০৮/১৯ ধারা ৪২০//৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড সকল ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা খেয়ে কাউকেই তোয়াক্কা না করে এই হরিলুটের মতউৎসবে মেতেছিলো । তার বদলাতে গাজীপুরের ভূক্তভুগিদের মধ্যে আলোচনার ঝড় বইছে।