ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবন যুদ্ধে সফল আহমেদ আলী।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / ২৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্টার।।

রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মধুপুর দলপাড়া গ্রামের মোঃ আহমেদ আলী, জম্মগত ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবনযুদ্ধে সফল তিনি।

কথায় আছে ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোন অসাধ্যও সাধন করার যায়। যার জলন্ত উদাহরণ আহমেদ আলী।জম্মগত ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও অটোরিকশার মেকার হয়ে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন।  সংসারের সবার মুখে হাসি ফটিয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো একটি চাকরি করবেন।

রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মধুপুর দলপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোঃ আবুল হাসেম ও গৃহিণী আছিয়া বেগম এর বড় ছেলে মোঃ আহমেদ আলী। দুই ভাই বোনের মধ্যে বড় আহমেদ আলী।

অভাবী সংসারের দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিনমজুর পিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলের ইচ্ছে পুরন করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ২০১৩ সালে মধুপুর কাজীর হাট দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.৩৮ পেয়ে এসএসসি পাশ করে,বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন এবং ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৩০ নিয়ে পাশ করে। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য অনার্সে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি সাভার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিকসে অনার্সের ৩য় বর্ষের ছাত্র। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিল্ডিং এর সিড়ির নিচে।বর্তমানে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তিনি সাভার পৌর এলাকার তালবাগে মাসিক তিন হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।

এসময় আহমেদ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও বসে নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি রিকশা গ্যারেজে কাজ করেন এবং তার পড়াশোনা করার জন্য সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম রাজীব প্রতিমাসে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি আরও বলেন আমি মানুষের কাছে ভিক্ষা না চেয়ে নিজে পরিশ্রম করে কাজ করে যা উপার্জন করি এবং রাজীব স্যার আমাকে প্রতিমাসে যে আর্থিক সহযোগিতা করেন তাতে করে আমার পড়াশোনা ও সংসার খরচ করেও বাড়ীতে অসহায় মা বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। তার স্বপ্ন অনার্স পাশ করে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে মা বাবার কষ্ট দুর করা এবং ছোট বোনটিকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম রাজীব বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধীরা যে বোঝা নয় আহমেদ আলী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সে জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুইটি পা -ই পঙ্গু এবং শারীরের অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গ গুলোও স্বাভাবিক নয়।  সে একজন মেধাবী ছাত্র।  সে কঠোর পরিশ্রম করে সাভার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ালেখা করে এবং একটি রিকশা গ্যারেজে কাজ করে। পড়াশোনার পাশাপাশি সে সংসারের দুঃখ-কষ্ট দূর করে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আমি তাকে মাসিক প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে আসছি এবং আমার ব্যক্তিগত ভাবে যখন যা দরকার তা দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। পরবর্তীতে তার যে কোন সাহায্য সহযোগিতায় আমি তার পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবন যুদ্ধে সফল আহমেদ আলী।

আপডেট টাইম : ০২:১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্টার।।

রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মধুপুর দলপাড়া গ্রামের মোঃ আহমেদ আলী, জম্মগত ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জীবনযুদ্ধে সফল তিনি।

কথায় আছে ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোন অসাধ্যও সাধন করার যায়। যার জলন্ত উদাহরণ আহমেদ আলী।জম্মগত ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও অটোরিকশার মেকার হয়ে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন।  সংসারের সবার মুখে হাসি ফটিয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো একটি চাকরি করবেন।

রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মধুপুর দলপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোঃ আবুল হাসেম ও গৃহিণী আছিয়া বেগম এর বড় ছেলে মোঃ আহমেদ আলী। দুই ভাই বোনের মধ্যে বড় আহমেদ আলী।

অভাবী সংসারের দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিনমজুর পিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলের ইচ্ছে পুরন করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ২০১৩ সালে মধুপুর কাজীর হাট দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.৩৮ পেয়ে এসএসসি পাশ করে,বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন এবং ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৩০ নিয়ে পাশ করে। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য অনার্সে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি সাভার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিকসে অনার্সের ৩য় বর্ষের ছাত্র। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিল্ডিং এর সিড়ির নিচে।বর্তমানে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তিনি সাভার পৌর এলাকার তালবাগে মাসিক তিন হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।

এসময় আহমেদ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও বসে নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি রিকশা গ্যারেজে কাজ করেন এবং তার পড়াশোনা করার জন্য সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম রাজীব প্রতিমাসে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি আরও বলেন আমি মানুষের কাছে ভিক্ষা না চেয়ে নিজে পরিশ্রম করে কাজ করে যা উপার্জন করি এবং রাজীব স্যার আমাকে প্রতিমাসে যে আর্থিক সহযোগিতা করেন তাতে করে আমার পড়াশোনা ও সংসার খরচ করেও বাড়ীতে অসহায় মা বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। তার স্বপ্ন অনার্স পাশ করে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে মা বাবার কষ্ট দুর করা এবং ছোট বোনটিকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম রাজীব বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধীরা যে বোঝা নয় আহমেদ আলী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সে জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুইটি পা -ই পঙ্গু এবং শারীরের অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গ গুলোও স্বাভাবিক নয়।  সে একজন মেধাবী ছাত্র।  সে কঠোর পরিশ্রম করে সাভার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ালেখা করে এবং একটি রিকশা গ্যারেজে কাজ করে। পড়াশোনার পাশাপাশি সে সংসারের দুঃখ-কষ্ট দূর করে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আমি তাকে মাসিক প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে আসছি এবং আমার ব্যক্তিগত ভাবে যখন যা দরকার তা দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। পরবর্তীতে তার যে কোন সাহায্য সহযোগিতায় আমি তার পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবো।