ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের রেকর্ড

ওমর ফারুক মোংলা।। 

মোংলা বন্দরে ৯৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড করেছে যা বন্দর সৃষ্টির ইতিহাসে এক অর্থ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জাহাজ আগমন

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে  বন্দর ভূমিকা রেখে চলেছে ১৯৫০ সালে বৃটিশ বাণিজ্যিক জাহাজThe City of Lyonsসুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনির গোল নামক স্থানে নোঙ্গর করে এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা

ডিসেম্বর ২০১৭ সালে একমাসে বন্দরে ৮৭ টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করেছিল, ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে বন্দরে ১০০ টি জাহাজ আগমন করেছিল, ডিসেম্বর ২০২০ সালে একমাসে ১১৭ টি জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে এছাড়াও অর্থ বছর বিবেচনায় সর্ব শেষ ০৫(পাঁচ) বছরের পরিসংখ্যান:-

বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন:

অর্থবছর

সংখ্যা

২০১৬১৭

৬২৩টি

২০১৭১৮

৭৮৪টি

২০১৮১৯

৯১২টি

২০১৯২০

৯০৩টি

২০২০২১

৯৭০টি

 

কার্গো হ্যান্ড লিং:

অর্থবছর

লঃমেঃটন

২০১৬১৭

৭৫.১১

২০১৭১৮

৯৭.১৬

২০১৮১৯

১১৩.১৫

২০১৯২০

১১০.৩৭

২০২০২১

১১৯.৪৫

 

 

মোট আয়:

অর্থবছর

লক্ষটাকা

২০১৬১৭

২২৬৫৬.০৫

২০১৭১৮

২৭৬১৪.৪৯

২০১৮১৯

৩২৯১২.১৩

২০১৯২০

৩৩৮১৯.০৭

২০২০২১

৩৪০২৩.১২

 এছাড়াও ২০২০২০২১ অর্থ বছরে বন্দরে ১৪৪৭৪ টি গাড়ী অবতরণ এবং ৪৩৯৫৯টি ইইউজ কন্টেইনার জাহাজে খালাসবোঝাই হয়

 অনেক চড়াই উত্তরাই পেরিয়ে আসা মোংলা বন্দর বর্তমানে দেশের অন্যতম আকর্ষণ আজ মোংলা বন্দর নয়শত সত্তরটি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড করেছে যা বন্দর সৃষ্টির সাত দশকের মধ্যে এক অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আগমনের রেকর্ড বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে দেশের দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের তথা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দর ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে  ২০০১ হতে ২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত   বন্দর নানা মুখী প্রতি কুলতার কারণে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল বিগত ২০০৭২০০৮ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ০৭টি  জাহাজ সম্পূর্ণ অর্থ বছরে ৯৫টি  জাহাজ আগমন করে এবং ২০০৪২০০৫ অর্থ বছরে বন্দর ১১ কোটি টাকা লোকসান করে  ফলে মোংলা বন্দর লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়  ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য সরকার অগ্রাধিকার বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে   বন্দর উন্নয়ন   আধুনিকায়নে কাজ শুরু করে ফলে ক্রমান্বয়ে মোংলা বন্দর গতিশীল হতে থাকে যার কারণে প্রতি বছর বিদেশী জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে

 মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, ও এসপি, এনপিপি, আরসিডিএস, এএফডব্লিউসি, পিএসসিবলেন২০০৩২০১০ সাল পর্যন্ত   বন্দর একটি ডেড বন্দর ছিল কারণ তখন নাব্যতা ছিলনা তাই কোন জাহাজ আসতোনা যার ফলে মোংলা বন্দরের কোন অর্জন ছিলনাবর্তমানে আমাদের হাতে অনেক গুলো প্রজেক্ট আছে যার  ৯৫  ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এই অর্থ বছর মোংলা বন্দর নয়শত সত্তরটি জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেএই কোভিড পরিস্তিতে ও আমরা বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা চালিয়ে যাচ্ছি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে মোংলা বন্দরের জাহাজ আগমনের রেকর্ড নির্দিষ্ট অর্থ বছরের পূর্বেই অর্জিত হয়েছে, বন্দরের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শিতা সূদুর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা,  দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তাকর্মচারীদের আন্তরিক চেষ্টা   বন্দর ব্যবহার কারীদের সহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টার ফলে

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের রেকর্ড

আপডেট টাইম : ১২:৫৪:৩৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

ওমর ফারুক মোংলা।। 

মোংলা বন্দরে ৯৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড করেছে যা বন্দর সৃষ্টির ইতিহাসে এক অর্থ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জাহাজ আগমন

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে  বন্দর ভূমিকা রেখে চলেছে ১৯৫০ সালে বৃটিশ বাণিজ্যিক জাহাজThe City of Lyonsসুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনির গোল নামক স্থানে নোঙ্গর করে এটাই ছিল মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা

ডিসেম্বর ২০১৭ সালে একমাসে বন্দরে ৮৭ টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করেছিল, ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে বন্দরে ১০০ টি জাহাজ আগমন করেছিল, ডিসেম্বর ২০২০ সালে একমাসে ১১৭ টি জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে এছাড়াও অর্থ বছর বিবেচনায় সর্ব শেষ ০৫(পাঁচ) বছরের পরিসংখ্যান:-

বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন:

অর্থবছর

সংখ্যা

২০১৬১৭

৬২৩টি

২০১৭১৮

৭৮৪টি

২০১৮১৯

৯১২টি

২০১৯২০

৯০৩টি

২০২০২১

৯৭০টি

 

কার্গো হ্যান্ড লিং:

অর্থবছর

লঃমেঃটন

২০১৬১৭

৭৫.১১

২০১৭১৮

৯৭.১৬

২০১৮১৯

১১৩.১৫

২০১৯২০

১১০.৩৭

২০২০২১

১১৯.৪৫

 

 

মোট আয়:

অর্থবছর

লক্ষটাকা

২০১৬১৭

২২৬৫৬.০৫

২০১৭১৮

২৭৬১৪.৪৯

২০১৮১৯

৩২৯১২.১৩

২০১৯২০

৩৩৮১৯.০৭

২০২০২১

৩৪০২৩.১২

 এছাড়াও ২০২০২০২১ অর্থ বছরে বন্দরে ১৪৪৭৪ টি গাড়ী অবতরণ এবং ৪৩৯৫৯টি ইইউজ কন্টেইনার জাহাজে খালাসবোঝাই হয়

 অনেক চড়াই উত্তরাই পেরিয়ে আসা মোংলা বন্দর বর্তমানে দেশের অন্যতম আকর্ষণ আজ মোংলা বন্দর নয়শত সত্তরটি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড করেছে যা বন্দর সৃষ্টির সাত দশকের মধ্যে এক অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আগমনের রেকর্ড বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে দেশের দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের তথা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্দর ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে  ২০০১ হতে ২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত   বন্দর নানা মুখী প্রতি কুলতার কারণে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল বিগত ২০০৭২০০৮ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ০৭টি  জাহাজ সম্পূর্ণ অর্থ বছরে ৯৫টি  জাহাজ আগমন করে এবং ২০০৪২০০৫ অর্থ বছরে বন্দর ১১ কোটি টাকা লোকসান করে  ফলে মোংলা বন্দর লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়  ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য সরকার অগ্রাধিকার বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে   বন্দর উন্নয়ন   আধুনিকায়নে কাজ শুরু করে ফলে ক্রমান্বয়ে মোংলা বন্দর গতিশীল হতে থাকে যার কারণে প্রতি বছর বিদেশী জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে

 মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, ও এসপি, এনপিপি, আরসিডিএস, এএফডব্লিউসি, পিএসসিবলেন২০০৩২০১০ সাল পর্যন্ত   বন্দর একটি ডেড বন্দর ছিল কারণ তখন নাব্যতা ছিলনা তাই কোন জাহাজ আসতোনা যার ফলে মোংলা বন্দরের কোন অর্জন ছিলনাবর্তমানে আমাদের হাতে অনেক গুলো প্রজেক্ট আছে যার  ৯৫  ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এই অর্থ বছর মোংলা বন্দর নয়শত সত্তরটি জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেএই কোভিড পরিস্তিতে ও আমরা বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা চালিয়ে যাচ্ছি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে মোংলা বন্দরের জাহাজ আগমনের রেকর্ড নির্দিষ্ট অর্থ বছরের পূর্বেই অর্জিত হয়েছে, বন্দরের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শিতা সূদুর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা,  দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তাকর্মচারীদের আন্তরিক চেষ্টা   বন্দর ব্যবহার কারীদের সহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টার ফলে