ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

সরকারি হোক কিনবা ব্যক্তি সাহায্য না পেলে রাহা-রোজাকে বাঁচাতে নিজের কিডনি বেঁচবে বাবা!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / ২৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।

থেলাসামিয়া রোগে আক্রান্ত দুই বোন রাহা আক্তার মরিয়ম(৫) ও আরফিন রোজা(২) । জন্মের পর থেকে তারা এ রোগে ভুগছেন।  প্রতিমাসে তাদের দুজনকে  রক্ত দিতে হয়। বর্তমানে সেটাও যোগার হচ্ছেনা। কারন রক্ত বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও রক্ত দিতে আনুসাঙ্গিক খরচগুলো যোগার করতে পারছেনা রাহা-রোজার দিন মজুর বাবা। এই প্রতিবেদক যখন  রাহা-রোজার বাড়ির সামনে তখনি তাঁদের দাদীর আকুতি আমার নাতনি দুইটাকে বাঁচাও বাবা। ওদের মুখের দিকে আর তাকানো যাচ্ছেনা। রক্তশুন্য মেয়েগুলোকে দেখে আর নিজেদের  বাঁচতে ইচ্ছা করছেনা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১১ নং মোহম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো: রাজু ইসলামের দুই মেয়ে তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের একটি রাইস মিলে কাজ করে রাহা রোজার বাবা রাজু ইসলাম। সেখান থেকে মাসে যা আয় করে তা দিয়ে মাসে একবারও ভালো তরকারি কেনা সম্ভব হয়না।  অনেক সন্ধ্যা না খেয়েও থাকতে হয় তাদের। একটি টিনের ঘর তাতেই গদাগদি করে থাকে তারা। দুই নাতির চিকিৎসার টাকা যোগার করতে ভাঙ্গা একটি ইজিবাইক নিয়ে ছুঁটেন রাহা-রোজার বৃদ্ধ দাদা। ইজিবাইকটি সর্বোচ্চ চলে ২৫ কিলোমিটার। তাতে কোনদিন আয় হয় কোনদিন আবার মেরামত করতেই সব টাকা চলে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান রাহা-রোজার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক আগেই সর্বশান্ত হয়েছেন পরিবার। এখন গ্রামের দুই চার দশজনের উপর ভরসা করেই জীবন প্রদীপ বেঁচে আছে দুই বোনের। কিন্তু তাও করোনাকাল থেকে ঝিমিয়ে গেছে। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যখন নিজের সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে রাহা-রোজাকে সাহায্য করা  গুটিকয়েক গ্রামবাসী তখন তাদের করণীয় বা  আর কি? স্থানীয়রা বলছেন, সরকার থেকে যদি রাহা-রোজাকে সাহায্য করা যেতো তাহলে নি:ষ্পাপ ফুলের মতো শিশু দুটিকে বাঁচানো সম্ভব।

আরো খবর।

রাহা-রোজার বাবা জানান, আমার  সহায় সম্বল যা আছে  সবই শেষ। আমার মেয়ে দুইটির চিকিৎসার খরচ চলে এলাকার কিছু ভাইয়ের টাকায় । কিন্তু করোনাকালে তাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আমার আয় দিয়ে কোনদিন এক কেজি মাছ বা মাংস কিনে অসুস্থ্য সন্তান গুলোকে খাওয়াতে পারিনি। নাতনিদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে আমার অসুস্থ্য বাবা  ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় বের হয়। কিন্তু করোনাকালে সেও এখন বেকার। আমার মেয়ে দুইটিকে বাঁচাতে পারে শুধুমাত্র হৃদবানরা। আমার অর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। সেটা সরকারি হোক কিনবা ব্যক্তি থেকে। যদি তা না পাই তাহলে আমাকে নিজের কিডনি বেঁচে হলেও আমার সন্তানদের চিকিৎসা করাতে হবে। কারন ডাক্তার বলেছে  উন্নত চিকিৎসা করালে আমার সন্তানরা ভালো হবে।

 

১১ নং মোহম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সোহাগ বলেন, শিশুদ্বয়ের সমস্যার কথা আমি শুনেছি।  পরিবারটি অনেক গরীব। আমি আহ্বান করবো হৃদবানদের এগিয়ে আসতে । সেই সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি আর্থিক সাহায্যের আবেদবন করতে আমি সুপারিশও করেছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি হোক কিনবা ব্যক্তি সাহায্য না পেলে রাহা-রোজাকে বাঁচাতে নিজের কিডনি বেঁচবে বাবা!

আপডেট টাইম : ০৯:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।

থেলাসামিয়া রোগে আক্রান্ত দুই বোন রাহা আক্তার মরিয়ম(৫) ও আরফিন রোজা(২) । জন্মের পর থেকে তারা এ রোগে ভুগছেন।  প্রতিমাসে তাদের দুজনকে  রক্ত দিতে হয়। বর্তমানে সেটাও যোগার হচ্ছেনা। কারন রক্ত বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও রক্ত দিতে আনুসাঙ্গিক খরচগুলো যোগার করতে পারছেনা রাহা-রোজার দিন মজুর বাবা। এই প্রতিবেদক যখন  রাহা-রোজার বাড়ির সামনে তখনি তাঁদের দাদীর আকুতি আমার নাতনি দুইটাকে বাঁচাও বাবা। ওদের মুখের দিকে আর তাকানো যাচ্ছেনা। রক্তশুন্য মেয়েগুলোকে দেখে আর নিজেদের  বাঁচতে ইচ্ছা করছেনা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১১ নং মোহম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো: রাজু ইসলামের দুই মেয়ে তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের একটি রাইস মিলে কাজ করে রাহা রোজার বাবা রাজু ইসলাম। সেখান থেকে মাসে যা আয় করে তা দিয়ে মাসে একবারও ভালো তরকারি কেনা সম্ভব হয়না।  অনেক সন্ধ্যা না খেয়েও থাকতে হয় তাদের। একটি টিনের ঘর তাতেই গদাগদি করে থাকে তারা। দুই নাতির চিকিৎসার টাকা যোগার করতে ভাঙ্গা একটি ইজিবাইক নিয়ে ছুঁটেন রাহা-রোজার বৃদ্ধ দাদা। ইজিবাইকটি সর্বোচ্চ চলে ২৫ কিলোমিটার। তাতে কোনদিন আয় হয় কোনদিন আবার মেরামত করতেই সব টাকা চলে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান রাহা-রোজার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক আগেই সর্বশান্ত হয়েছেন পরিবার। এখন গ্রামের দুই চার দশজনের উপর ভরসা করেই জীবন প্রদীপ বেঁচে আছে দুই বোনের। কিন্তু তাও করোনাকাল থেকে ঝিমিয়ে গেছে। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যখন নিজের সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে রাহা-রোজাকে সাহায্য করা  গুটিকয়েক গ্রামবাসী তখন তাদের করণীয় বা  আর কি? স্থানীয়রা বলছেন, সরকার থেকে যদি রাহা-রোজাকে সাহায্য করা যেতো তাহলে নি:ষ্পাপ ফুলের মতো শিশু দুটিকে বাঁচানো সম্ভব।

আরো খবর।

রাহা-রোজার বাবা জানান, আমার  সহায় সম্বল যা আছে  সবই শেষ। আমার মেয়ে দুইটির চিকিৎসার খরচ চলে এলাকার কিছু ভাইয়ের টাকায় । কিন্তু করোনাকালে তাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আমার আয় দিয়ে কোনদিন এক কেজি মাছ বা মাংস কিনে অসুস্থ্য সন্তান গুলোকে খাওয়াতে পারিনি। নাতনিদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে আমার অসুস্থ্য বাবা  ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় বের হয়। কিন্তু করোনাকালে সেও এখন বেকার। আমার মেয়ে দুইটিকে বাঁচাতে পারে শুধুমাত্র হৃদবানরা। আমার অর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। সেটা সরকারি হোক কিনবা ব্যক্তি থেকে। যদি তা না পাই তাহলে আমাকে নিজের কিডনি বেঁচে হলেও আমার সন্তানদের চিকিৎসা করাতে হবে। কারন ডাক্তার বলেছে  উন্নত চিকিৎসা করালে আমার সন্তানরা ভালো হবে।

 

১১ নং মোহম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সোহাগ বলেন, শিশুদ্বয়ের সমস্যার কথা আমি শুনেছি।  পরিবারটি অনেক গরীব। আমি আহ্বান করবো হৃদবানদের এগিয়ে আসতে । সেই সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি আর্থিক সাহায্যের আবেদবন করতে আমি সুপারিশও করেছি।