ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে হাওড়ে বজ্রপাত, নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন নিক-শনের জুটিতে হতাশা বাড়ছে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ফিরিয়ে উদযাপনে মাতেন তানজিম। তবে বাংলাদেশ এমন উদযাপনের উপলক্ষ আর একবারই পেয়েছে শিল্পের গ্যাস দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন, দিশেহারা কারখানা মালিকরা পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো মামলার আরও ২ আসামি শনাক্ত কাকাইলছেও কালনী পাড়ায় প্রেমের প্রতারনার শিকার হয়ে নাবালিকার আত্মহত্যা ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত আনারুল বাহিনীর এক সহযোগী আটক চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

পাথরঘাটায় মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার, স্বামী পালাতক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • / ৪২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনা প্রতিনিধি।

পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঘাতক স্বামী সাহিন মুন্সীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পালাতক রয়েছে।

শনিবার সকাল দশটার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার।

ঘাতক সাহিন মুন্সী উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে।

স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের পূর্বে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে।

তিনি আরো জানান গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যায়। এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, শনিবার সকালে স্থানীয়রা সাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর ঘটনা স্থলে এসে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে সুরাত হাল করা হয়। রিপোর্ট লেখার পূর্বে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহমেদ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাথরঘাটায় মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার, স্বামী পালাতক

আপডেট টাইম : ১২:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

বরগুনা প্রতিনিধি।

পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঘাতক স্বামী সাহিন মুন্সীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পালাতক রয়েছে।

শনিবার সকাল দশটার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার।

ঘাতক সাহিন মুন্সী উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে।

স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের পূর্বে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে।

তিনি আরো জানান গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যায়। এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, শনিবার সকালে স্থানীয়রা সাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর ঘটনা স্থলে এসে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে সুরাত হাল করা হয়। রিপোর্ট লেখার পূর্বে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহমেদ।