ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ তারাকান্দা উপজেলায় ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ছেলে নিহত-বাবা সংকটাপন্ন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪১ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ১আসামী গ্রেফতার নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

পাথরঘাটায় মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার, স্বামী পালাতক

বরগুনা প্রতিনিধি।

পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঘাতক স্বামী সাহিন মুন্সীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পালাতক রয়েছে।

শনিবার সকাল দশটার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার।

ঘাতক সাহিন মুন্সী উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে।

স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের পূর্বে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে।

তিনি আরো জানান গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যায়। এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, শনিবার সকালে স্থানীয়রা সাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর ঘটনা স্থলে এসে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে সুরাত হাল করা হয়। রিপোর্ট লেখার পূর্বে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহমেদ।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত

পাথরঘাটায় মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার, স্বামী পালাতক

আপডেট টাইম : ১২:০৫:২৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

বরগুনা প্রতিনিধি।

পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঘাতক স্বামী সাহিন মুন্সীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পালাতক রয়েছে।

শনিবার সকাল দশটার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার।

ঘাতক সাহিন মুন্সী উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে।

স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের পূর্বে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে।

তিনি আরো জানান গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যায়। এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, শনিবার সকালে স্থানীয়রা সাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর ঘটনা স্থলে এসে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে সুরাত হাল করা হয়। রিপোর্ট লেখার পূর্বে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহমেদ।