ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

বাণিজ্যিকভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সাশ্রয়ী ড্রাগন ফলের চাষ 

  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৮:৫৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
  • / ৫২৫ ৫০০.০০০ বার পাঠক

রাজশাহী ব্যুরো।।

বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি অধিক লাভজনক ড্রাগন ফলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ফল চাষে শিক্ষিত যুবকরা এগিয়ে আসছে। তারা চাকরীর পিছনে না দৌড়ে কৃষিতে মনোনিবেশ করতে শুর করেছে। এই ধরনের ফসল চাষ করে তারা বেকারত্বের গ্নানি থেকে মুক্ত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন বেকারত্ব কমছে, তেমনি আগামীতে দেশের টাকা খরচ করে আমদানী করা বন্ধ হবে। সেইসাথে পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদাও পুরণ হবে অনেকাংশে। বরেন্দ্র অঞ্চল গোদাগাড়ীতে এক যুগের বেশী সময় পূর্বে পানির অভাবে ধান ছাড়া তেমন কোন ফসলের চাষ হত না। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে কৃষকেরা একটি মাত্র ফসল হিসেবে ধান চাষ করতেন।

সময়ের বিবর্তনের সাথে ঘুরতে থাকে গোদাগাড়ী অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের চাকা। বরেন্দ্র অঞ্চল সবুজে ভরে উঠতে থাকে। সময়োপযোগী আধুনিক ও জলবায়ুসহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের ফসলের বিস্তৃতিতে ধীরে ধীরে উত্তরের শস্য ভান্ডারে পরিণত হয়েছে এক সময়ের রুক্ষ মাটির অঞ্চল গোদাগাড়ী। এই এলাকার জমি উঁচু হওয়ায় এবং বন্যার পানি মাঠে প্রবেশ না করায় নিরাপদে চাষ করা যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফল ও ফসল।

এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ড্রাগন ফলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। সাফল্য পেয়েছে বাণিজ্যিকভাবেড্রাগন ফল চাষ করে অনেকে।

কথা হয় পিরিজপুর এগ্রো ফার্মে গিয়ে শরিফ মাষ্টারের সাথে, তিনি বলেন এই বাগানের মূল মালিক আমেনা সিদ্দিকা খান। আমেনা মালিক হলেও বাগানের মূল দায়িত্বে রয়েছেন তিনি নিজে। তিনি বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইউটিউব এর দেখে এই ফল চাষে আগ্রহী হন। এরপর ২০১৯ সালের মার্চ—এপ্রিলের দিকে ৫ বিঘা জমিতে বাগান তৈরীর কাজ শুরু করেন।

তিনি আরো বলেন, জমি ভাল করে চারটি চাষ দিতে হয়। জমিতে প্রতিটি সারি ও বেডের দুরত্ব ৩মিটার বাই ৩মিটার পদ্ধতি অনুসরন করা হয়। চারপাশের মাটি তুলে বেড তৈরী করতে হয়। বেডের মাঝখানে শক্ত সিমেন্টের খুঁটি দিতে হয়। খুটি স্থাপনের পূর্বে বেডে ১০—১২ কেজি জৈব সার মাটির সাথে মিশ্রন করে ১০দিন রাখতে হয়। এরপর ড্রাগনের কাটিং রোপন করতে হয়। রোপন করে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন বেডে পানি দিতে হয়। পরের সপ্তাহে ৩দিন পানি দেয়ার পরে সমস্ত জমি পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হয়। তবে জমিতে কোনভাবেই পানি জমে থাকতে দেয়া যাবেনা বলে জানান তারা। এর পর খরা মৌসুমে মাসে দুইবার করে পানি দিলেই চলে।

শরিফ মাষ্টার আরো কলেন, ভালো জাতের কাটিং হলে রোপনের এক বছরের মধ্যেই ফুল ও ফল আসে। তবে রোপনের ৩—৪ মাসের মধ্যে ফুল আসলে তা ভেঙ্গে দেয়াই ভাল বলে জানান। তারা বলেন, বিঘাপতি কাটিং রোপন থেকে শুরু করে ফল উত্তোলন পর্যন্ত সর্বমোট তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়। তারা বলেন, এপ্রিল মাস হতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সার্বক্ষণিক গাছে ফুল ও ফল আসে। প্রতি কেজি ফল বাজারে ৩৫০—৪০০টাকায় বিক্রি হয়। আর এক বিঘা জমিতে ১ম বছর প্রায় দুই টন ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। সে হিসেবে প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আয় কার সম্ভব। ড্রাগন গাছ ও ফলের উল্লেখযোগ্য কোন রোগবালাই নাই। এরজন্য রাসায়নিক সার ও কিটনাশক এই বাগানে ব্যবহার করা হয় না। সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে এই ফলের চাষ করা হচ্ছে। সেইক্ষেত্রে এই ফল একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক এবং সেচ একেবারেই কম লাগায় খরচ অনেক কম হয়। বর্তমানে তার বাগানে মোট ৪৫০০টি গাছ রয়েছে।  ২০২০ ইং সালে  ৫ বিঘা জমি থেকে ৯ টন ফল পাওয়া গিয়ে ছিল। চলতি বছর ( ২য় বছর) এ পর্যন্ত ৭ টন ফল উত্তোলন করা হয়ে গেছে। ডিসেম্বর মাস আসা পর্যন্ত আরো প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টন ফল উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন— ড্রাগন একটি উচ্চ মূল্যের সুস্বাদু বিদেশি ফল। এই ফল ঔষধি গুণসম্পন্ন ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা মানুষের শরীরের জন্য ভালো। একবার লাগানো হলে প্রায় ১৫—২০ বছর ফল দেয়। পানি কম লাগে। বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষের উপযোগী। বরেন্দ্র অঞ্চলে যেহেতু পানির সংকট রয়েছে তাই ড্রাগন ফলের চাষ এই এলাকার জন্য একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে চাষ করা যেতে পারে। কৃষি বিভাগ বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফলের স¤প্রসারনে কৃষকদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান বলেন, যেসব বিদেশি ফল এদেশে অভিযোজনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তার মধ্যে ক্যাক্টাস পরিবারের এই ড্রাগন উল্লেখযোগ্য। কয়েক বছরের ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। শুরুতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করে লম্বা সময় ধরে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুনসম্পন্ন এই বিদেশি ফল লিভারের রোগ ও ডায়াবেটিকস—এর জন্য উপকারী। দিন দিন শিক্ষিত ও শহুরে সমাজে এই ফলের গুরুত্ব বাড়ছে বলে জানান মতিয়র। তিনি আরো বলেন, বরেন্দ্র মাটিতে খরাসহিষ্ণু ড্রাগন সহজেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বলে বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলায় ড্রাগন চাষের ভালো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাণিজ্যিকভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সাশ্রয়ী ড্রাগন ফলের চাষ 

আপডেট টাইম : ০৩:৩৮:৫৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

রাজশাহী ব্যুরো।।

বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি অধিক লাভজনক ড্রাগন ফলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ফল চাষে শিক্ষিত যুবকরা এগিয়ে আসছে। তারা চাকরীর পিছনে না দৌড়ে কৃষিতে মনোনিবেশ করতে শুর করেছে। এই ধরনের ফসল চাষ করে তারা বেকারত্বের গ্নানি থেকে মুক্ত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন বেকারত্ব কমছে, তেমনি আগামীতে দেশের টাকা খরচ করে আমদানী করা বন্ধ হবে। সেইসাথে পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদাও পুরণ হবে অনেকাংশে। বরেন্দ্র অঞ্চল গোদাগাড়ীতে এক যুগের বেশী সময় পূর্বে পানির অভাবে ধান ছাড়া তেমন কোন ফসলের চাষ হত না। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে কৃষকেরা একটি মাত্র ফসল হিসেবে ধান চাষ করতেন।

সময়ের বিবর্তনের সাথে ঘুরতে থাকে গোদাগাড়ী অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের চাকা। বরেন্দ্র অঞ্চল সবুজে ভরে উঠতে থাকে। সময়োপযোগী আধুনিক ও জলবায়ুসহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের ফসলের বিস্তৃতিতে ধীরে ধীরে উত্তরের শস্য ভান্ডারে পরিণত হয়েছে এক সময়ের রুক্ষ মাটির অঞ্চল গোদাগাড়ী। এই এলাকার জমি উঁচু হওয়ায় এবং বন্যার পানি মাঠে প্রবেশ না করায় নিরাপদে চাষ করা যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফল ও ফসল।

এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ড্রাগন ফলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। সাফল্য পেয়েছে বাণিজ্যিকভাবেড্রাগন ফল চাষ করে অনেকে।

কথা হয় পিরিজপুর এগ্রো ফার্মে গিয়ে শরিফ মাষ্টারের সাথে, তিনি বলেন এই বাগানের মূল মালিক আমেনা সিদ্দিকা খান। আমেনা মালিক হলেও বাগানের মূল দায়িত্বে রয়েছেন তিনি নিজে। তিনি বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইউটিউব এর দেখে এই ফল চাষে আগ্রহী হন। এরপর ২০১৯ সালের মার্চ—এপ্রিলের দিকে ৫ বিঘা জমিতে বাগান তৈরীর কাজ শুরু করেন।

তিনি আরো বলেন, জমি ভাল করে চারটি চাষ দিতে হয়। জমিতে প্রতিটি সারি ও বেডের দুরত্ব ৩মিটার বাই ৩মিটার পদ্ধতি অনুসরন করা হয়। চারপাশের মাটি তুলে বেড তৈরী করতে হয়। বেডের মাঝখানে শক্ত সিমেন্টের খুঁটি দিতে হয়। খুটি স্থাপনের পূর্বে বেডে ১০—১২ কেজি জৈব সার মাটির সাথে মিশ্রন করে ১০দিন রাখতে হয়। এরপর ড্রাগনের কাটিং রোপন করতে হয়। রোপন করে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন বেডে পানি দিতে হয়। পরের সপ্তাহে ৩দিন পানি দেয়ার পরে সমস্ত জমি পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হয়। তবে জমিতে কোনভাবেই পানি জমে থাকতে দেয়া যাবেনা বলে জানান তারা। এর পর খরা মৌসুমে মাসে দুইবার করে পানি দিলেই চলে।

শরিফ মাষ্টার আরো কলেন, ভালো জাতের কাটিং হলে রোপনের এক বছরের মধ্যেই ফুল ও ফল আসে। তবে রোপনের ৩—৪ মাসের মধ্যে ফুল আসলে তা ভেঙ্গে দেয়াই ভাল বলে জানান। তারা বলেন, বিঘাপতি কাটিং রোপন থেকে শুরু করে ফল উত্তোলন পর্যন্ত সর্বমোট তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়। তারা বলেন, এপ্রিল মাস হতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সার্বক্ষণিক গাছে ফুল ও ফল আসে। প্রতি কেজি ফল বাজারে ৩৫০—৪০০টাকায় বিক্রি হয়। আর এক বিঘা জমিতে ১ম বছর প্রায় দুই টন ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। সে হিসেবে প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আয় কার সম্ভব। ড্রাগন গাছ ও ফলের উল্লেখযোগ্য কোন রোগবালাই নাই। এরজন্য রাসায়নিক সার ও কিটনাশক এই বাগানে ব্যবহার করা হয় না। সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে এই ফলের চাষ করা হচ্ছে। সেইক্ষেত্রে এই ফল একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক এবং সেচ একেবারেই কম লাগায় খরচ অনেক কম হয়। বর্তমানে তার বাগানে মোট ৪৫০০টি গাছ রয়েছে।  ২০২০ ইং সালে  ৫ বিঘা জমি থেকে ৯ টন ফল পাওয়া গিয়ে ছিল। চলতি বছর ( ২য় বছর) এ পর্যন্ত ৭ টন ফল উত্তোলন করা হয়ে গেছে। ডিসেম্বর মাস আসা পর্যন্ত আরো প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টন ফল উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন— ড্রাগন একটি উচ্চ মূল্যের সুস্বাদু বিদেশি ফল। এই ফল ঔষধি গুণসম্পন্ন ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা মানুষের শরীরের জন্য ভালো। একবার লাগানো হলে প্রায় ১৫—২০ বছর ফল দেয়। পানি কম লাগে। বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষের উপযোগী। বরেন্দ্র অঞ্চলে যেহেতু পানির সংকট রয়েছে তাই ড্রাগন ফলের চাষ এই এলাকার জন্য একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে চাষ করা যেতে পারে। কৃষি বিভাগ বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফলের স¤প্রসারনে কৃষকদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান বলেন, যেসব বিদেশি ফল এদেশে অভিযোজনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তার মধ্যে ক্যাক্টাস পরিবারের এই ড্রাগন উল্লেখযোগ্য। কয়েক বছরের ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। শুরুতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করে লম্বা সময় ধরে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুনসম্পন্ন এই বিদেশি ফল লিভারের রোগ ও ডায়াবেটিকস—এর জন্য উপকারী। দিন দিন শিক্ষিত ও শহুরে সমাজে এই ফলের গুরুত্ব বাড়ছে বলে জানান মতিয়র। তিনি আরো বলেন, বরেন্দ্র মাটিতে খরাসহিষ্ণু ড্রাগন সহজেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বলে বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলায় ড্রাগন চাষের ভালো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।