ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

নারী ও শিশু পাচারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না ॥ বিজিবি মহাপরিচালক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • / ২৯৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, নারী, শিশু ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারে কারো কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী ও শিশু পাচারে কাউকে ছাড় দেয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে ‘সীমান্ত ব্যাংক’ এর ১৯তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই কিন্তু তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এছাড়াও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছে। গতকাল রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সীমান্তে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে। এখন বাংলাদেশের সীমান্ত চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। আমাদের একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার। বিওপিতে টহল দল থাকে তারপরও শতভাগ সম্ভব হয়ে ওঠে না।

বিজিবি সীমান্ত এলাকায় কাজ করার কারণে তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। বিজিবিতে বর্তমানে কতজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবির ৬৫ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত সীমান্তে কাজ করছেন। বিজিবির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলেন। গতকাল বুধবার পর্যন্ত আক্রান্তের হার শতকরা একভাগে পৌঁছেছে। এতদিন আক্রান্তের হার ছিল শতকরা মাত্র দশিক ৭০ ভাগ।

সীমান্ত ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সেবা সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। বিজিবির সদস্যরা সহজশর্তে লোন পেয়ে থাকেন। সদস্যদের সন্তানরা পড়াশোনা শেষে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, RTGS, BFTN এবং রেমিটেন্স সর্বসেবাসহ বিভিন্ন আধুনিক সেবা চালু করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী ও শিশু পাচারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না ॥ বিজিবি মহাপরিচালক

আপডেট টাইম : ০৮:৫৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, নারী, শিশু ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারে কারো কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী ও শিশু পাচারে কাউকে ছাড় দেয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে ‘সীমান্ত ব্যাংক’ এর ১৯তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই কিন্তু তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এছাড়াও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছে। গতকাল রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সীমান্তে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে। এখন বাংলাদেশের সীমান্ত চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। আমাদের একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার। বিওপিতে টহল দল থাকে তারপরও শতভাগ সম্ভব হয়ে ওঠে না।

বিজিবি সীমান্ত এলাকায় কাজ করার কারণে তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। বিজিবিতে বর্তমানে কতজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবির ৬৫ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত সীমান্তে কাজ করছেন। বিজিবির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলেন। গতকাল বুধবার পর্যন্ত আক্রান্তের হার শতকরা একভাগে পৌঁছেছে। এতদিন আক্রান্তের হার ছিল শতকরা মাত্র দশিক ৭০ ভাগ।

সীমান্ত ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সেবা সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। বিজিবির সদস্যরা সহজশর্তে লোন পেয়ে থাকেন। সদস্যদের সন্তানরা পড়াশোনা শেষে ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, RTGS, BFTN এবং রেমিটেন্স সর্বসেবাসহ বিভিন্ন আধুনিক সেবা চালু করেছে।