ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ হলে না খেয়ে ম’রবে ৫০ লাখ পরিবার শক্ত জবাব দিবেন রিকশা শ্রমিকেরা
- আপডেট টাইম : ১১:৪৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
- / ২৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তুঘলকি কায়দায় ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা হলে ৫০ লক্ষ পরিবার জীবিকা হারিয়ে বুভুক্ষ অবস্থায় পড়বে। যা সমাজে চরম অস্থিরতা তৈরি করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে বাতিলের দাবি জানান তারা।আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ।বক্তৃতা করেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও পলিটব্যুরো সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আ’ন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনোয়েদ সাকি, সম্পাদক বাচ্চু ভুইয়া ও মনিরুদ্দিন পাপ্পু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মা’র্কসবাদী)’র মানস নন্দী ও জহিরুল ই’স’লা’ম এবং সমাজতান্ত্রিক আ’ন্দোলনের রুবেল সিকদার।সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে সারাদেশে ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান নিষিদ্ধের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে একই অমানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রস্তাবে বলা হয়, ক’রো’নার এই মহামা’রীরকালে অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে, ৬২ শতাংশ মানুষ আয়-রোজগার হারিয়েছে ৫২ শতাংশ মানুষ খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় ওই সিদ্ধান্ত নতুন সংকট তৈরি করবে।প্রস্তাবে আরো বলা হয়, রিকশা, ব্যাটারি, মোটর আম’দানি করে ব্যবসায়ীরা, বিক্রি করে দোকানদার ব্যবসায়ীরা, সেগুলো আম’দানি ও বিক্রি বন্ধ না করে রিকশা নিষিদ্ধ অমানবিক। দরিদ্র কর্মহীন মানুষ এনজিওসহ বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে রিকশা কিনে চালিয়ে যখন জীবিকা চালাচ্ছে তখন সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনক্রমেই শ্রমজীবী রিকশা চালক-মালিকরা মেনে নেবে না। বাম জোটের পক্ষ থেকে ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের আ’ন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সম’র্থন জানানো হয়।প্রস্তাবে আরো বলা হয়, রিকশা, ব্যাটারি, মোটর আম’দানি করে ব্যবসায়ীরা, বিক্রি করে দোকানদার ব্যবসায়ীরা, সেগুলো আম’দানি ও বিক্রি বন্ধ না করে রিকশা নিষিদ্ধ অমানবিক। দরিদ্র কর্মহীন মানুষ এনজিওসহ বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে রিকশা কিনে চালিয়ে যখন জীবিকা চালাচ্ছে তখন সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনক্রমেই শ্রমজীবী রিকশা চালক-মালিকরা মেনে নেবে না। বাম জোটের পক্ষ থেকে ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের আ’ন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সম’র্থন জানানো হয়।