ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজীপুরে ঢিলেঢালাভাবে চলছে ১ম দিনের লকডাউন

রিপোর্টার গাজীপুর।।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুরে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে চলছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে গজীপুর জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মহাসড়কে সাধারণ পরিবহন চলাচল কম থাকলেও সাধারণ মানুষের চলাচল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সমগ্র গাজীপুর জেলাজুড়ে অটোরিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি চলতে দেখা গেছে। গাজীপুরের শিল্প কারখানাগুলো খোলা থাকায় সকালে সড়কে শ্রমিকদের পায়ে হেটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে শ্রমিকদের আসা—যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে বিধিনিষেধে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট ও শপিংমলগুলো খোলা রয়েছে। সব মিলিয়ে ঢিলেঢালাভাবে চলছে গাজীপুরের ৯দিনের লকডাউনের প্রথম দিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে বিশেষ প্রস্ততি গ্রহণ করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস। পৃথক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা ও মহানগর পুলিশ। এরইমধ্যে মঙ্গলবার ভোর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় জেলার সকল প্রবেশদ্বার। গাজীপুরের সবগুলো রেল জংশনে বন্ধ রয়েছে যাত্রী উঠা—নামা। সকাল থেকে পুলিশ রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর—টঙ্গী ব্রিজ, কামাড়পাড়া, নরসিংদি সীমান্তে ঘোড়াশাল ব্রিজ, ময়মনসিংহ সীমন্তে জৈনা বাজার, কালিয়াকৈরসহ শহরের কয়েকটি পয়েন্টে কঠোরভাবে অবস্থান নিয়েছে। এসব চোকপোষ্টে সকল যানবাহন ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। জরুরি সেবা, পন্যবাহী যান, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ জেলার মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছেন গাজীপুর জেলার বাইরে থেকে আসা যাত্রীরা। অনেক যাত্রী পুলিশকে অনুরোধ করে প্রবেশের চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেন নি।

টঙ্গী রেল জংশনের ষ্টেশন মাষ্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, লকডাউনের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও টঙ্গী রেল ষ্টেশনে কোন ট্রেন থামেনি। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে গাজীপুর থেকে কমলাপুর রুটে চলাচল করা তুরাগ ডেমো ও কালিয়াকৈর কমিউটার ট্রেন। অনেক যাত্রী ষ্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে ফিরে গেছে বলে জানান তিনি।

লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ—কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, মঙ্গলবার থেকে গাজীপুরে ৯দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সে লক্ষ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোষ্ট বসিয়ে যানচলাচল ও সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। ঢাকা থেকে আসা এবং ঢাকায় ঢুকার সময় পুলিশের চেকপোষ্টে পড়তেই হবে। সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা: খাইরুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত গাজীপুরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি। রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আম নিয়ে আসা আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের গাজীপুরের প্রবেশপথগুলোতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রীপরিষদ সচিব গাজীপুরসহ ৭ জেলায় ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে ঢিলেঢালাভাবে চলছে ১ম দিনের লকডাউন

আপডেট টাইম : ০৯:১২:১৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

রিপোর্টার গাজীপুর।।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুরে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে চলছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে গজীপুর জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মহাসড়কে সাধারণ পরিবহন চলাচল কম থাকলেও সাধারণ মানুষের চলাচল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সমগ্র গাজীপুর জেলাজুড়ে অটোরিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি চলতে দেখা গেছে। গাজীপুরের শিল্প কারখানাগুলো খোলা থাকায় সকালে সড়কে শ্রমিকদের পায়ে হেটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে শ্রমিকদের আসা—যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে বিধিনিষেধে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট ও শপিংমলগুলো খোলা রয়েছে। সব মিলিয়ে ঢিলেঢালাভাবে চলছে গাজীপুরের ৯দিনের লকডাউনের প্রথম দিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে বিশেষ প্রস্ততি গ্রহণ করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস। পৃথক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা ও মহানগর পুলিশ। এরইমধ্যে মঙ্গলবার ভোর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় জেলার সকল প্রবেশদ্বার। গাজীপুরের সবগুলো রেল জংশনে বন্ধ রয়েছে যাত্রী উঠা—নামা। সকাল থেকে পুলিশ রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর—টঙ্গী ব্রিজ, কামাড়পাড়া, নরসিংদি সীমান্তে ঘোড়াশাল ব্রিজ, ময়মনসিংহ সীমন্তে জৈনা বাজার, কালিয়াকৈরসহ শহরের কয়েকটি পয়েন্টে কঠোরভাবে অবস্থান নিয়েছে। এসব চোকপোষ্টে সকল যানবাহন ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। জরুরি সেবা, পন্যবাহী যান, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ জেলার মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছেন গাজীপুর জেলার বাইরে থেকে আসা যাত্রীরা। অনেক যাত্রী পুলিশকে অনুরোধ করে প্রবেশের চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেন নি।

টঙ্গী রেল জংশনের ষ্টেশন মাষ্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, লকডাউনের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও টঙ্গী রেল ষ্টেশনে কোন ট্রেন থামেনি। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে গাজীপুর থেকে কমলাপুর রুটে চলাচল করা তুরাগ ডেমো ও কালিয়াকৈর কমিউটার ট্রেন। অনেক যাত্রী ষ্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে ফিরে গেছে বলে জানান তিনি।

লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ—কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, মঙ্গলবার থেকে গাজীপুরে ৯দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সে লক্ষ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোষ্ট বসিয়ে যানচলাচল ও সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। ঢাকা থেকে আসা এবং ঢাকায় ঢুকার সময় পুলিশের চেকপোষ্টে পড়তেই হবে। সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা: খাইরুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত গাজীপুরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি। রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আম নিয়ে আসা আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের গাজীপুরের প্রবেশপথগুলোতে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রীপরিষদ সচিব গাজীপুরসহ ৭ জেলায় ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেন।