ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে কোদাল দিয়ে  নিজে তৈরি করে দিলেন পানি নিষ্কাশনের নালা

প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও।।

ঠাকুরগাঁও রোড শুক ব্রীজ সংলগ্ন চার লেনের রাস্তার পাশ্ববর্তী জায়গায়গুলো বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করে উচু করে রাখায়  একটু বৃষ্টি হলেই হাটুজল লেগে থাকে রাস্তাটিতে। ফলে দূর্ভোগ চরমে গিয়ে ঠেকেছে মানুষের। অনেকের ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট হয় যায়। অনেক পথচারী আবার সেখানকার ছেটানো পানিতে খানিকটা গোসলও করে ফেলে। কিন্তু পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা সেখানে ছিলোনা।

এই দুর্ভোগ দেখে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে মাটি ভরাট করা শ্রমিকের হাত থেকে কোদাল নিয়ে নিজে তৈরি করে দিলেন পানি নিষ্কাশনের নালা। সে নালা দিয়ে যখন পানিটি প্রবাহিত হচ্ছিলো তখন পাশে থাকা এক মানুষ বলে উঠলেন ওসি’র কেটে দেয়া নালা দিয়ে পানি নয়  যাচ্ছে জনদুর্ভোগ। এর জন্য তিনি সহ উপস্থিত সকলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসিকে হাসি মুখে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাও জানালেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, অনেকটা পানি এখানে জমাট বেঁধে ছিলো। নিষ্কাশনের কোন পথ ছিলোনা। মানুষজন খুব দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলো। তাই নিজ হাতে কোদাল দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে একটু চেষ্টা করলাম মাত্র।

এদিকে মাটি যারা ভরাট করছিলো সেসব জমির মালিকদের একাংশ জানালেন, ড্রেন না থাকায় পানিটি এখানে বদ্ধ হয়ে থাকে!

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে আগে  এ রাস্তায়  কখনো পানি আটকে থাকতোনা। রাস্তার পাশে শুক নদী। রাস্তার পানি যেনো সহজে যেতে পারে এবং রাস্তা যেনো ভাঙ্গে না যায় সে জন্য বাঁধ ও তৈরি করা আছে। কিন্তু তারপরেও পানি আটকে থাকছে। কারনা মাটি দিয়ে বাঁধ ও পানি নির্গমের রাস্তা সব ‍বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে তো বাঁধ বেয়ে পানিটা চলে যেতো। কিন্তু এখন সব মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলায় পানি যেতে পারছেনা। এ সমস্যাটির দ্রুত সমাধান চায় মানুষজন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সমস্যাটি সরজমেনি  দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে কোদাল দিয়ে  নিজে তৈরি করে দিলেন পানি নিষ্কাশনের নালা

আপডেট টাইম : ০৮:২৩:২৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও।।

ঠাকুরগাঁও রোড শুক ব্রীজ সংলগ্ন চার লেনের রাস্তার পাশ্ববর্তী জায়গায়গুলো বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করে উচু করে রাখায়  একটু বৃষ্টি হলেই হাটুজল লেগে থাকে রাস্তাটিতে। ফলে দূর্ভোগ চরমে গিয়ে ঠেকেছে মানুষের। অনেকের ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট হয় যায়। অনেক পথচারী আবার সেখানকার ছেটানো পানিতে খানিকটা গোসলও করে ফেলে। কিন্তু পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা সেখানে ছিলোনা।

এই দুর্ভোগ দেখে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে মাটি ভরাট করা শ্রমিকের হাত থেকে কোদাল নিয়ে নিজে তৈরি করে দিলেন পানি নিষ্কাশনের নালা। সে নালা দিয়ে যখন পানিটি প্রবাহিত হচ্ছিলো তখন পাশে থাকা এক মানুষ বলে উঠলেন ওসি’র কেটে দেয়া নালা দিয়ে পানি নয়  যাচ্ছে জনদুর্ভোগ। এর জন্য তিনি সহ উপস্থিত সকলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসিকে হাসি মুখে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাও জানালেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, অনেকটা পানি এখানে জমাট বেঁধে ছিলো। নিষ্কাশনের কোন পথ ছিলোনা। মানুষজন খুব দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলো। তাই নিজ হাতে কোদাল দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে একটু চেষ্টা করলাম মাত্র।

এদিকে মাটি যারা ভরাট করছিলো সেসব জমির মালিকদের একাংশ জানালেন, ড্রেন না থাকায় পানিটি এখানে বদ্ধ হয়ে থাকে!

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে আগে  এ রাস্তায়  কখনো পানি আটকে থাকতোনা। রাস্তার পাশে শুক নদী। রাস্তার পানি যেনো সহজে যেতে পারে এবং রাস্তা যেনো ভাঙ্গে না যায় সে জন্য বাঁধ ও তৈরি করা আছে। কিন্তু তারপরেও পানি আটকে থাকছে। কারনা মাটি দিয়ে বাঁধ ও পানি নির্গমের রাস্তা সব ‍বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে তো বাঁধ বেয়ে পানিটা চলে যেতো। কিন্তু এখন সব মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলায় পানি যেতে পারছেনা। এ সমস্যাটির দ্রুত সমাধান চায় মানুষজন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সমস্যাটি সরজমেনি  দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন।