ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

আজ জোড়া খুন ॥ দণ্ডিত ৪ আসামির জামিনের রিভিউ আপিল বিভাগে খারিজ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

আইন-আদালত।।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির জামিন নিয়ে করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ রবিবার (২০ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হেসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলার বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা হামলা করে ঘটনাস্থলে স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। একইসঙ্গে তার ভাই মিজানুর রহমানকেও জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরে বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। রায়ে ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী, সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও এই মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা আপিলের সাথে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এ চারজনকে জামিন দেন।

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার জজ আদালত তাদের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেন। নিয়ম অনুসারে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেন।

আপিল বিভাগের এ আদেশ পুর্নবিবেচনা চেয়ে চার আসামি আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার শেষে আদেশের জন্য ২০ জুন দিন ঠিক হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ জোড়া খুন ॥ দণ্ডিত ৪ আসামির জামিনের রিভিউ আপিল বিভাগে খারিজ

আপডেট টাইম : ০৯:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

আইন-আদালত।।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির জামিন নিয়ে করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ রবিবার (২০ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হেসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলার বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা হামলা করে ঘটনাস্থলে স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। একইসঙ্গে তার ভাই মিজানুর রহমানকেও জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরে বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। রায়ে ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী, সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও এই মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা আপিলের সাথে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এ চারজনকে জামিন দেন।

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার জজ আদালত তাদের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেন। নিয়ম অনুসারে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেন।

আপিল বিভাগের এ আদেশ পুর্নবিবেচনা চেয়ে চার আসামি আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার শেষে আদেশের জন্য ২০ জুন দিন ঠিক হয়।