ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরের কাশিমপুরে  ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পটুয়াখালীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে নিহত ১ গুরুতর আহত ২ জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল, প্রধান জামাত শুরু সকাল সাড়ে ৮টায় দেশবাসীকে জামায়াত আমিরের ঈদের শুভেচ্ছা পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, স্বপ্নের মুক্তি ফাউন্ডেশন, এর প্রতিষ্ঠাতা, আব্দুল্লাহ আল অভি, এর উদ্যোগে, আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেহেদি উৎসব ঢাকাস্থ ফুলবাড়ী সমিতির উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ‍্যডহক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন ফিরোজের ব্যক্তিগত পরিচয় ও তার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার নান্দাইলে বিএনপি নেতা মেজর জেনারেল (অব:) আনোয়ারুল মোমেনের সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বাস চাপায় অটোরিকশার যাত্রী নারীসহ নিহত ৩ সময়ের কন্ঠ’র অনুসন্ধানে রহস্যজনক ভাবে বিএনপির কর্মী সোহাগসহ চারজন কনডেম সেলে রাখার রহস্য উৎপাটন!

মাদারীপুরে অবাধে ভরাট হচ্ছে প্রাকৃতিক জলাধার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
  • / ৩১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি।।

মাদারীপুর প্রাকৃতিক জলাধার যা পরিবেশের অন্যতম প্রধান একটি উপাদান। এক সময় মাদারীপুর জেলা ছিল প্রাকৃতিক জলাধারে পরিপূর্ণ একটি জেলা। নদী, পুকুর, খাল- বিল ও বাওড়ে ভরপুর ছিল জেলাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে অবাধে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এসব প্রাকৃতিক জলাধার। মানুষ তাদের প্রয়োজনে- অপ্রয়োজনে ভরাট করে ফেলছে জলাধারগুলো। যা পরিবেশের জন্য হয়ে উঠছে হুমকিস্বরূপ। জলাধারগুলো ভরে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর- বাড়ি অফিসসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো।  জেলায় কয়েক বছর আগেও যে পরিমাণ প্রাকৃতিক জলাধার ছিল এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। স্থানীয় নদীগুলোর থেকে অবৈধভাবে ড্রেসিং মেশিনের সাহায্যে পুকুর, ডোবা, নালা ভরাট কার্যক্রম চলছে অবাধে। যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিচ্ছে। জেলার সদর,রাজৈর,কালকিনি ও শিবচরে বিধিবহির্ভূতভাবে অনেক জলাধার বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করে ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক এসব জলাধার গুলো ভরাট করায় বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা। স্থানীয়দের মতে, আট- দশ বছর ধরে এসব প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের অবাধ প্রতিযোগিতা চলছে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন -২০০০ অনুযায়ী পুকুর,  জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। কিন্তু তারপরেও আইন না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে জলাভূমি ভরাট। স্থানীয় পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা  বলেন, পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের জন্যই প্রাকৃতিক জলাধার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রয়োজন এসব জলাধার। এছাড়াও মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্যও ব্যবহৃত হয় জলাধারগুলো। এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন, প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট মোটেও ভালো লক্ষন নয়। কারন তা পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে এবং পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রাকৃতিক জলাধার গুলো সংরক্ষণের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার  এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরে অবাধে ভরাট হচ্ছে প্রাকৃতিক জলাধার

আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি।।

মাদারীপুর প্রাকৃতিক জলাধার যা পরিবেশের অন্যতম প্রধান একটি উপাদান। এক সময় মাদারীপুর জেলা ছিল প্রাকৃতিক জলাধারে পরিপূর্ণ একটি জেলা। নদী, পুকুর, খাল- বিল ও বাওড়ে ভরপুর ছিল জেলাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে অবাধে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এসব প্রাকৃতিক জলাধার। মানুষ তাদের প্রয়োজনে- অপ্রয়োজনে ভরাট করে ফেলছে জলাধারগুলো। যা পরিবেশের জন্য হয়ে উঠছে হুমকিস্বরূপ। জলাধারগুলো ভরে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর- বাড়ি অফিসসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো।  জেলায় কয়েক বছর আগেও যে পরিমাণ প্রাকৃতিক জলাধার ছিল এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। স্থানীয় নদীগুলোর থেকে অবৈধভাবে ড্রেসিং মেশিনের সাহায্যে পুকুর, ডোবা, নালা ভরাট কার্যক্রম চলছে অবাধে। যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিচ্ছে। জেলার সদর,রাজৈর,কালকিনি ও শিবচরে বিধিবহির্ভূতভাবে অনেক জলাধার বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করে ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক এসব জলাধার গুলো ভরাট করায় বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা। স্থানীয়দের মতে, আট- দশ বছর ধরে এসব প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের অবাধ প্রতিযোগিতা চলছে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন -২০০০ অনুযায়ী পুকুর,  জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। কিন্তু তারপরেও আইন না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে জলাভূমি ভরাট। স্থানীয় পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা  বলেন, পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের জন্যই প্রাকৃতিক জলাধার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রয়োজন এসব জলাধার। এছাড়াও মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্যও ব্যবহৃত হয় জলাধারগুলো। এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন, প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট মোটেও ভালো লক্ষন নয়। কারন তা পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে এবং পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রাকৃতিক জলাধার গুলো সংরক্ষণের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার  এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।