ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ তারাকান্দা উপজেলায় ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ছেলে নিহত-বাবা সংকটাপন্ন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন

মাদারীপুরে অবাধে ভরাট হচ্ছে প্রাকৃতিক জলাধার

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি।।

মাদারীপুর প্রাকৃতিক জলাধার যা পরিবেশের অন্যতম প্রধান একটি উপাদান। এক সময় মাদারীপুর জেলা ছিল প্রাকৃতিক জলাধারে পরিপূর্ণ একটি জেলা। নদী, পুকুর, খাল- বিল ও বাওড়ে ভরপুর ছিল জেলাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে অবাধে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এসব প্রাকৃতিক জলাধার। মানুষ তাদের প্রয়োজনে- অপ্রয়োজনে ভরাট করে ফেলছে জলাধারগুলো। যা পরিবেশের জন্য হয়ে উঠছে হুমকিস্বরূপ। জলাধারগুলো ভরে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর- বাড়ি অফিসসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো।  জেলায় কয়েক বছর আগেও যে পরিমাণ প্রাকৃতিক জলাধার ছিল এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। স্থানীয় নদীগুলোর থেকে অবৈধভাবে ড্রেসিং মেশিনের সাহায্যে পুকুর, ডোবা, নালা ভরাট কার্যক্রম চলছে অবাধে। যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিচ্ছে। জেলার সদর,রাজৈর,কালকিনি ও শিবচরে বিধিবহির্ভূতভাবে অনেক জলাধার বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করে ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক এসব জলাধার গুলো ভরাট করায় বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা। স্থানীয়দের মতে, আট- দশ বছর ধরে এসব প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের অবাধ প্রতিযোগিতা চলছে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন -২০০০ অনুযায়ী পুকুর,  জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। কিন্তু তারপরেও আইন না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে জলাভূমি ভরাট। স্থানীয় পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা  বলেন, পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের জন্যই প্রাকৃতিক জলাধার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রয়োজন এসব জলাধার। এছাড়াও মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্যও ব্যবহৃত হয় জলাধারগুলো। এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন, প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট মোটেও ভালো লক্ষন নয়। কারন তা পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে এবং পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রাকৃতিক জলাধার গুলো সংরক্ষণের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার  এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায়

মাদারীপুরে অবাধে ভরাট হচ্ছে প্রাকৃতিক জলাধার

আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

মোঃ মাহামুদুল হাসান, প্রতিনিধি।।

মাদারীপুর প্রাকৃতিক জলাধার যা পরিবেশের অন্যতম প্রধান একটি উপাদান। এক সময় মাদারীপুর জেলা ছিল প্রাকৃতিক জলাধারে পরিপূর্ণ একটি জেলা। নদী, পুকুর, খাল- বিল ও বাওড়ে ভরপুর ছিল জেলাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে অবাধে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এসব প্রাকৃতিক জলাধার। মানুষ তাদের প্রয়োজনে- অপ্রয়োজনে ভরাট করে ফেলছে জলাধারগুলো। যা পরিবেশের জন্য হয়ে উঠছে হুমকিস্বরূপ। জলাধারগুলো ভরে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর- বাড়ি অফিসসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো।  জেলায় কয়েক বছর আগেও যে পরিমাণ প্রাকৃতিক জলাধার ছিল এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। স্থানীয় নদীগুলোর থেকে অবৈধভাবে ড্রেসিং মেশিনের সাহায্যে পুকুর, ডোবা, নালা ভরাট কার্যক্রম চলছে অবাধে। যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিচ্ছে। জেলার সদর,রাজৈর,কালকিনি ও শিবচরে বিধিবহির্ভূতভাবে অনেক জলাধার বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করে ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক এসব জলাধার গুলো ভরাট করায় বাড়ছে জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা। স্থানীয়দের মতে, আট- দশ বছর ধরে এসব প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের অবাধ প্রতিযোগিতা চলছে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন -২০০০ অনুযায়ী পুকুর,  জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। কিন্তু তারপরেও আইন না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে জলাভূমি ভরাট। স্থানীয় পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা  বলেন, পরিবেশ ও মানুষ উভয়ের জন্যই প্রাকৃতিক জলাধার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রয়োজন এসব জলাধার। এছাড়াও মানুষের দৈনন্দিন কাজের জন্যও ব্যবহৃত হয় জলাধারগুলো। এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন, প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট মোটেও ভালো লক্ষন নয়। কারন তা পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে এবং পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রাকৃতিক জলাধার গুলো সংরক্ষণের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার  এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।