ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি

খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়ালো বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১৮

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১১:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / ৩০৬ ১৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥

খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা এটা সর্বোচ্চ।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর এপর্য়ন্ত খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৭৬৭ জন। মৃত্যুর মিছিলে খুলনার সংখ্যা শীর্ষে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় চার জন, কুষ্টিয়ায় চার জন, যশোরে তিন জন, চুয়াডাঙ্গায় দুই জন, মেহেরপুরে দুই জন, বাগেরহাটে একজন, মাগুরায় একজন ও ঝিনাইদহে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৬৫ জনের শরীরে। সুস্থ হয়েছেন ২৮১ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর সূত্র জানায়, করোন সংক্রমণ শুরুর পর এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ২০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর মিছিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। এই জেলায় এ পর্যন্ত ১৪৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া বাগেরহাটে ৬৩ জন, সাতক্ষীরায় ৫৫ জন, যশোর জেলায় ৯৯ জন, নড়াইলে ২৮ জন, মাগুরায় ২৪ জন, ঝিনাইদহে ৬১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬৬ জন ও মেহের পুর জেলায় ৩০ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চললেও মানুষের যেন হুঁশ ফিরেছে না। কেউ মাক্স ঠিক মতো পড়ছেনা, কারও মাক্স থুতনিতে লাগানো, আবার অনেকে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তাই বোধ করছেন না। এমনিভাবে তারা বাইরে চলাচল করছে।

বাজার, শপিং মল, এলাকার শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হচ্ছে না। আবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে। গ্রামেও ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। রোগীর চাপ আস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে হাসপাতালে।

রোগীর চাপের কারণে ইতোমধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ১৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। খুলনা জেনারেল হাসপাতালে আগামী সপ্তাহে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিট খোলা হবে।

এদিকে খুলনা ১৩০ বেডের ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে রেড জোনে ১০১ জন, ইয়োলো জোনে ২৮ জন, ডিএইচইউ জোনে ১০ জন ও আইসিইউ জোনে ২০ জনসহ ১৫৯ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৩ জন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সাত জন রোগী। এরমধ্যে পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। করোনা পজিটিভে মৃতদের মধ্যে চার জন খুলনার ও একজন যশোরের।

অপর দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় একদিনে ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ জানান, নতুন শনাক্ত রোগীর মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১০০ জন, বাগেরহাটের তিন, যশোরের দুই, সাতক্ষীরার তিন, ঝিনাইদহ-নড়াইল ও মাগুরার একজন করে রোগী রয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়ালো বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১৮

আপডেট টাইম : ১১:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥

খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা এটা সর্বোচ্চ।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর এপর্য়ন্ত খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৭৬৭ জন। মৃত্যুর মিছিলে খুলনার সংখ্যা শীর্ষে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় চার জন, কুষ্টিয়ায় চার জন, যশোরে তিন জন, চুয়াডাঙ্গায় দুই জন, মেহেরপুরে দুই জন, বাগেরহাটে একজন, মাগুরায় একজন ও ঝিনাইদহে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৬৫ জনের শরীরে। সুস্থ হয়েছেন ২৮১ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর সূত্র জানায়, করোন সংক্রমণ শুরুর পর এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ২০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর মিছিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। এই জেলায় এ পর্যন্ত ১৪৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া বাগেরহাটে ৬৩ জন, সাতক্ষীরায় ৫৫ জন, যশোর জেলায় ৯৯ জন, নড়াইলে ২৮ জন, মাগুরায় ২৪ জন, ঝিনাইদহে ৬১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬৬ জন ও মেহের পুর জেলায় ৩০ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চললেও মানুষের যেন হুঁশ ফিরেছে না। কেউ মাক্স ঠিক মতো পড়ছেনা, কারও মাক্স থুতনিতে লাগানো, আবার অনেকে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তাই বোধ করছেন না। এমনিভাবে তারা বাইরে চলাচল করছে।

বাজার, শপিং মল, এলাকার শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হচ্ছে না। আবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে। গ্রামেও ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। রোগীর চাপ আস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে হাসপাতালে।

রোগীর চাপের কারণে ইতোমধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ১৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। খুলনা জেনারেল হাসপাতালে আগামী সপ্তাহে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিট খোলা হবে।

এদিকে খুলনা ১৩০ বেডের ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে রেড জোনে ১০১ জন, ইয়োলো জোনে ২৮ জন, ডিএইচইউ জোনে ১০ জন ও আইসিইউ জোনে ২০ জনসহ ১৫৯ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৩ জন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সাত জন রোগী। এরমধ্যে পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। করোনা পজিটিভে মৃতদের মধ্যে চার জন খুলনার ও একজন যশোরের।

অপর দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় একদিনে ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ জানান, নতুন শনাক্ত রোগীর মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১০০ জন, বাগেরহাটের তিন, যশোরের দুই, সাতক্ষীরার তিন, ঝিনাইদহ-নড়াইল ও মাগুরার একজন করে রোগী রয়েছে।