ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন দেশের মঙ্গলে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারধর- ৩৭ বার শালিস বৈঠক শেষে থানায় অভিযোগ  ৪৯ দিনেও অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
  • / ২৯২ ১৫০.০০০ বার পাঠক
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়া বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী- সুলতান ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের ৪৯দিন অবহিত হলেও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী রুবিয়া উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকার শওকত আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে রুবিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুলতানের। ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের বিনিময় বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয় আর ৫০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়। বিয়ের পর বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে রুবিয়ার উপর। কারণে অকারণে সেই টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করে তার স্বামী । এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ৩৭ বার শালিস বৈঠক হয়েছে। এরপরেও নির্যাতনের খড়ক কমেনি রুবিয়া বেগমের উপর। এমন অবস্থায় গত ২৪ এপ্রিল যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করেন অভিযুক্ত সুলতান ও তার পরিবারের লোকজন। রুবিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। রুবিয়া কিছুটা সুস্থ হলে গত ২৬ এপ্রিল স্বামীকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার ৪৯ দিন পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি নথিভ‚ক্ত করেনি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবিয়া বেগম বলেন, ‘প্রায় ২ মাস হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশ আপোস মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। নচেৎ মামলা নথিভুক্ত করতে হলে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা গরির মানুষ টাকা কোথায় পাবো’।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুলতান বলেন, ‘আমি কোন মারধর করিনাই। এটা আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে’।
এ বিষয়ে অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুকুমার রায় বলেন, ‘আমি কোন টাকা ঘুষ চাই নাই। ওই মেয়ে তার স্বামীর নিকট ৫ শতক জমি লিখে চায় নতুবা তার ঘর সংসার করবে না’।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারধর- ৩৭ বার শালিস বৈঠক শেষে থানায় অভিযোগ  ৪৯ দিনেও অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ

আপডেট টাইম : ০৬:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়া বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী- সুলতান ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের ৪৯দিন অবহিত হলেও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী রুবিয়া উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকার শওকত আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে রুবিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুলতানের। ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের বিনিময় বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয় আর ৫০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়। বিয়ের পর বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে রুবিয়ার উপর। কারণে অকারণে সেই টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করে তার স্বামী । এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ৩৭ বার শালিস বৈঠক হয়েছে। এরপরেও নির্যাতনের খড়ক কমেনি রুবিয়া বেগমের উপর। এমন অবস্থায় গত ২৪ এপ্রিল যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করেন অভিযুক্ত সুলতান ও তার পরিবারের লোকজন। রুবিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। রুবিয়া কিছুটা সুস্থ হলে গত ২৬ এপ্রিল স্বামীকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার ৪৯ দিন পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি নথিভ‚ক্ত করেনি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবিয়া বেগম বলেন, ‘প্রায় ২ মাস হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশ আপোস মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। নচেৎ মামলা নথিভুক্ত করতে হলে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা গরির মানুষ টাকা কোথায় পাবো’।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুলতান বলেন, ‘আমি কোন মারধর করিনাই। এটা আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে’।
এ বিষয়ে অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুকুমার রায় বলেন, ‘আমি কোন টাকা ঘুষ চাই নাই। ওই মেয়ে তার স্বামীর নিকট ৫ শতক জমি লিখে চায় নতুবা তার ঘর সংসার করবে না’।