ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন ও ক্রয় বিক্রয় বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র গাজায় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ইসরায়েলকে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ১৯ কিলোমিটার ইনারবার এলাকার ড্রেজিং কাজ শুরু

মিঠু ফকির স্টাফ রির্পোটার(মোংলা): মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের  ইনারবার (আভ্যন্তরীণ) এলাকার ড্রেজিং কার্যক্রম  শুরু  হয়েছে । বন্দর চ্যানেলের নব্যতা ফেরাতে ড্রেজিং ও নদী খননের কাজ করছে দুটি কোস্পানি।  আগামী ১৮ মাসের মধ্যে ৭শ ’ ৯৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে পশুর চ্যানেলের ২০ কিলোমিটার এলাকার পলি অপসারন ও খানন কাজ করবে প্রতিষ্ঠিান দুটি। গত শনিবার  দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ড্রেজিং প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন  নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বন্দর কর্তকর্তরা জানান, তবে ইনাবারে নাব্যতা সংকটের কারণে কন্টেইনারবাহী ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দর জেঠিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারছে না। তাই বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে ৯ দশমিক ৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ আনার জন্য চ্যানেলের জয়মনিরগোল হতে বন্দর জেটি পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ২১৬.০৯ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ড্রেজিং কাজের ঠিকাদারী কাজ করছে  চীনা কোম্পানি জেএইচসিইসি এবং সিসিইসিসি নামক দুটি প্রতিষ্ঠান। চীনের এ প্রতিষ্ঠান দুটি ইতিমধ্যে বন্দরের আউটারবার (বহিঃনোঙ্গর) ড্রেজিং কাজ সম্পর্ণ করেছে। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছিলেন কেসিসি  মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বন—পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবা উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। এছাড়া বন্দরকতৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যবহারকারী এবং চীনা ঠিকাদারী প্রতষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পশুর নদী সংলগ্ন মোংলার জয়মনির ঘোাল এলাকায় আয়োজিত ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, পদ্মা সেতু নির্মানের কাজ শেষ হওয়ার আগেরই মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নাব্য ফেরাতে ড্রেজিং সহ নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করছে সরকার। আগামীতে আমাদানী—রপ্তানী বানিজ্যের চাপ সামাল দিতে একই এ বন্দরকে প্রস্তুত করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে মৃত ঘোষনা করা মোংলা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে। এ বন্দরের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের দ্বার উম্মোচীত হবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন ও ক্রয় বিক্রয়

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ১৯ কিলোমিটার ইনারবার এলাকার ড্রেজিং কাজ শুরু

আপডেট টাইম : ০৮:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

মিঠু ফকির স্টাফ রির্পোটার(মোংলা): মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের  ইনারবার (আভ্যন্তরীণ) এলাকার ড্রেজিং কার্যক্রম  শুরু  হয়েছে । বন্দর চ্যানেলের নব্যতা ফেরাতে ড্রেজিং ও নদী খননের কাজ করছে দুটি কোস্পানি।  আগামী ১৮ মাসের মধ্যে ৭শ ’ ৯৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে পশুর চ্যানেলের ২০ কিলোমিটার এলাকার পলি অপসারন ও খানন কাজ করবে প্রতিষ্ঠিান দুটি। গত শনিবার  দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ড্রেজিং প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন  নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বন্দর কর্তকর্তরা জানান, তবে ইনাবারে নাব্যতা সংকটের কারণে কন্টেইনারবাহী ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দর জেঠিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারছে না। তাই বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে ৯ দশমিক ৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ আনার জন্য চ্যানেলের জয়মনিরগোল হতে বন্দর জেটি পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ২১৬.০৯ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ড্রেজিং কাজের ঠিকাদারী কাজ করছে  চীনা কোম্পানি জেএইচসিইসি এবং সিসিইসিসি নামক দুটি প্রতিষ্ঠান। চীনের এ প্রতিষ্ঠান দুটি ইতিমধ্যে বন্দরের আউটারবার (বহিঃনোঙ্গর) ড্রেজিং কাজ সম্পর্ণ করেছে। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছিলেন কেসিসি  মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বন—পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবা উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। এছাড়া বন্দরকতৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যবহারকারী এবং চীনা ঠিকাদারী প্রতষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পশুর নদী সংলগ্ন মোংলার জয়মনির ঘোাল এলাকায় আয়োজিত ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, পদ্মা সেতু নির্মানের কাজ শেষ হওয়ার আগেরই মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নাব্য ফেরাতে ড্রেজিং সহ নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করছে সরকার। আগামীতে আমাদানী—রপ্তানী বানিজ্যের চাপ সামাল দিতে একই এ বন্দরকে প্রস্তুত করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে মৃত ঘোষনা করা মোংলা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে। এ বন্দরের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের দ্বার উম্মোচীত হবে।