ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আইএমএফের শর্তে রাজস্ব আহরণে কতটা সফল, জানতে চায় অর্থ বিভাগ আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩

দুই মাস পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
  • / ২৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

অহিদুজ্জামান (টিটু), বেনাপোল।।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই মাস পর পুনরায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার (০৯ জুন) ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। এর আগে পেঁয়াজ উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ও দফায় দফায় মূল্য বাড়িয়ে ভারত সরকার দেশের বাইরে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমদানিকারকরা। তাদের কয়েক‘শ কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে কেনা পেঁয়াজ ওপারে আটকা পড়ায় আমদানি করতে পারেননি। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে আর খুচরা বাজারে ৩৮

থেকে ৪০ টাকা। বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, আজ  বিকালে ভারত থেকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর শতকরা ৫ ভাগ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারককে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট

সেজুতি এন্টারপ্রাইজ। বেনাপোল বন্দরের আমদানিরফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি কমেছে ১০ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয় তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য আকাশ ছোঁয়া বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পেঁয়াজ কিনতে বেকায়দায় পড়েন। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তা তদারকির প্রতি জোর দেয় তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। বেনাপোল বন্দরের উপ৷ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুই মাস পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি

আপডেট টাইম : ১০:৩৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

অহিদুজ্জামান (টিটু), বেনাপোল।।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই মাস পর পুনরায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার (০৯ জুন) ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। এর আগে পেঁয়াজ উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ও দফায় দফায় মূল্য বাড়িয়ে ভারত সরকার দেশের বাইরে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমদানিকারকরা। তাদের কয়েক‘শ কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে কেনা পেঁয়াজ ওপারে আটকা পড়ায় আমদানি করতে পারেননি। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে আর খুচরা বাজারে ৩৮

থেকে ৪০ টাকা। বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, আজ  বিকালে ভারত থেকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর শতকরা ৫ ভাগ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারককে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট

সেজুতি এন্টারপ্রাইজ। বেনাপোল বন্দরের আমদানিরফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি কমেছে ১০ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয় তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য আকাশ ছোঁয়া বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পেঁয়াজ কিনতে বেকায়দায় পড়েন। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তা তদারকির প্রতি জোর দেয় তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। বেনাপোল বন্দরের উপ৷ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।