আগামী তিন দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে,৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
- / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
আগামী তিন দিনে সারা দেশে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে আগামী ১৪ থেকে ১৬ জুন বেশি বর্ষণ হবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, লঘুচাপটি স্থলভাগের দিকে এলেই বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে। আগামী ১৪ থেকে ১৬ জুন বেশি বর্ষণ হবে। তার আগে পরে কখনো রোদ, কোথাও রোদ-কোথাও বৃষ্টি এই অবস্থা বিরাজ করবে। সপ্তাহের মাঝের দিনগুলোতে বেশি বর্ষণ হবে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হবে।
লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত। তবে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। এমনকি লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপের কারণে রবিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় এসময় দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি, যা দমকা আকারে ২৫ কিমিতে উঠে যেতে পারে।
নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে। বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
শনিবার (১২ জুন) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমারখালীতে, ৭৫ মিলিমিটার। ঢাকায় হয়েছে ১৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।