সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের একটি গলির ডাস্টবিনের পাশ থেকে শিশু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০২:১৯:০৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
- / ২৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরের আহমেদ হাসপাতাল থেকে রবি বার দুপুরে চুরি হওয়া শিশু ওমায়েদ সরকারকে পাঁচ ঘণ্টা পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের একটি গলির ডাস্টবিনের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নবীনগর পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামের কাউসার সরকারের (মিঠু) ৪৩ দিন বয়সের ছেলে ওমায়েদ সরকার দুপুরে নবীনগর সদরে অবস্থিত আহমেদ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার পরপরই জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানেরর নির্দেশে নবীনগর উপজেলাসহ গোটা জেলায় পুলিশি পাহারা বসানো হয়। অপর দিকে শিশুটি চুরি হওয়ার সংবাদ নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গিয়ে শিশুটির ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সন্দেহজনক সকলকে চেক করা শুরু করে পুলিশ।
বিষয়টি টের পেয়ে ওই চুর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের একটি গলির ভেতর ডাস্টবিনের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
ওই সময় এক নারী কনেস্টবল শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিশুটি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রশিদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, শিশুটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। গোটা জেলায় পুলিশের অভিযান ও চেক পোস্ট বসানোর কারণে ওই চুর শিশুটিকে নিয়ে পালাতে ব্যর্থ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে একটি গলির ভেতর ডাস্টবিনের পাশে ফেলে যায়। আমাদের এক নারী কনেস্টেবল পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটির কান্না শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। শিশুটির কান্না থামাতে ওই নারী কনেস্টবল তাকে তার বুকের দুধ খাওয়ানোর পর শান্ত হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে।
উল্লেখ্য, শিশু ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে এক প্রতারক নারী রোববার দুপুরে মিঠুর স্ত্রী সাবিনাকে মোবাইলে ফোনে ডেকে নেয় নবীনগর আহমেদ হাসপাতালে। হাসপাতালে যাওয়ার পর ওই প্রতারক নারী শিশুটির মা সাবিনা বেগমকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে বলেন। তখন শিশুটিকে প্রতারক নারীর কোলে দিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে যান সাবিনা বেগম। পরীক্ষা শেষে বেড়িয়ে এসে দেখেন ওই নারী তার ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। ছেলে হারিয়ে চিৎকার শুরু করেন সাবিনা। পুলিশ শিশু চুরির ঘটনা জানতে পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু করে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোকরা ও মুখোশ পড়া ৩০ থেকে ৩৫ বছরের এক নারী শিশু ওমায়েদকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। ক্যামেরার রেজুলেশন ভালো না থাকায় ওই নারীর চেহারা সঠিকভাবে চেনা যাচ্ছিল না। সাবিনার স্বামী কাউসার সরকার পেশায় একজন শ্রমিক, নারায়গঞ্জে।
আরো খবর.......