ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: সেই টিকটক হৃদয়কে গুলি ভারতীয় পুলিশের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:১০:৪৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / ২১০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভারতের রিপোর্টার।।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদেরকে ঘটনাস্থলে নিলে বেঙ্গালুরু পুলিশের ওপর হামলা করে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন টিকটক হৃদয় বাবুসহ দু’জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও অখিল নামে চার তরুণ ও দুই নারীকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। যদিও গ্রেফতার হওয়া নারীদের পরিচয় জানানো হয়নি।  ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতাররা বাংলাদেশি নাগরিক। বেঙ্গালুরু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে টিকটক ‍হৃদয় ও সাগর গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকিরা পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে। 

ভারতীয় পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত সবাই অবৈধভাবে ভারতে গেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকেও এই চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিল বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর সন্ধান এখনো পায়নি তারা। বেঙ্গালুরু পুলিশের ধারণা, বেঙ্গালুরুর বনসওয়াদির চান্নাসান্দ্রা এলাকায় ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। তাই বনসওয়াদির সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসিপি) এন এস সাকরি ও তার দল গ্রেফতারকৃতদের চান্নাসান্দ্রা এলাকায় নিয়ে যাওয়া যান। সেখানেই টিকটক হৃদয় ও সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে। এই সময় রামামূর্তি নগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মেলভিন ফ্রান্সিস আত্মরক্ষার্থে তাদের ওপর গুলি চালান। এতে হৃদয় ও সাগরের হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। এখন তাদের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এনডিটিভি জানিয়েছে, ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেফতার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দুজন নারীও রয়েছেন।

ঢাকার পুলিশ বলছে, গণমাধ্যম থেকে তারাও গ্রেফতারের খবর জেনেছেন। আর ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।

হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ বলেন, টিকটকার হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন মেয়েটির বাবা। গণমাধ্যম থেকে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। তবে অফিসিয়াল চ্যানেলে এখনও ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার। তবে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়। সাইবার পেট্রোলের অংশ হিসেবে ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: সেই টিকটক হৃদয়কে গুলি ভারতীয় পুলিশের

আপডেট টাইম : ০১:১০:৪৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

ভারতের রিপোর্টার।।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদেরকে ঘটনাস্থলে নিলে বেঙ্গালুরু পুলিশের ওপর হামলা করে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন টিকটক হৃদয় বাবুসহ দু’জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও অখিল নামে চার তরুণ ও দুই নারীকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। যদিও গ্রেফতার হওয়া নারীদের পরিচয় জানানো হয়নি।  ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতাররা বাংলাদেশি নাগরিক। বেঙ্গালুরু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে টিকটক ‍হৃদয় ও সাগর গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকিরা পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে। 

ভারতীয় পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত সবাই অবৈধভাবে ভারতে গেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকেও এই চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিল বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর সন্ধান এখনো পায়নি তারা। বেঙ্গালুরু পুলিশের ধারণা, বেঙ্গালুরুর বনসওয়াদির চান্নাসান্দ্রা এলাকায় ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। তাই বনসওয়াদির সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসিপি) এন এস সাকরি ও তার দল গ্রেফতারকৃতদের চান্নাসান্দ্রা এলাকায় নিয়ে যাওয়া যান। সেখানেই টিকটক হৃদয় ও সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে। এই সময় রামামূর্তি নগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মেলভিন ফ্রান্সিস আত্মরক্ষার্থে তাদের ওপর গুলি চালান। এতে হৃদয় ও সাগরের হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। এখন তাদের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এনডিটিভি জানিয়েছে, ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেফতার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দুজন নারীও রয়েছেন।

ঢাকার পুলিশ বলছে, গণমাধ্যম থেকে তারাও গ্রেফতারের খবর জেনেছেন। আর ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।

হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ বলেন, টিকটকার হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন মেয়েটির বাবা। গণমাধ্যম থেকে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। তবে অফিসিয়াল চ্যানেলে এখনও ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার। তবে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়। সাইবার পেট্রোলের অংশ হিসেবে ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসে।