ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক চলছে ৬ বিজ্ঞানী নিহত, জরুরি অধিবেশন ডেকেছে ইরান দিনাজপুরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা আহত ৬ লন্ডনে ড. ইউনূস-সাথে তারেক রহমান সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুদ্ধের দামামা এবার ইসরায়েলে ইরানের হামলা শুরু শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শতাধিক আহত ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত

আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৮৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেছি।

আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস, ২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। ‘৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, ক্যু, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

তিনি বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে বিনা খরচে সরকারী আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’র কেন্দ্রস্থল হিসেবে মামলার পক্ষসমূহের মধ্যে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করছে, যা সারাদেশের আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই কঠিন সময়েও সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে চলমান রয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম প্রয়োগ করে বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সকল ধরনের ভয়ভীতি ও বৈষম্য দূর করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য ‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার’ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২১’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার

আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেছি।

আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস, ২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। ‘৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, ক্যু, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

তিনি বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে বিনা খরচে সরকারী আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’র কেন্দ্রস্থল হিসেবে মামলার পক্ষসমূহের মধ্যে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করছে, যা সারাদেশের আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই কঠিন সময়েও সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে চলমান রয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম প্রয়োগ করে বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সকল ধরনের ভয়ভীতি ও বৈষম্য দূর করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য ‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার’ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ। আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২১’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।