মরণোত্তর চক্ষুদাতা হিসেবে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির ডোনার হলেন-সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম।
- আপডেট টাইম : ০১:৪০:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
- / ৩৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আলো, রঙ, রুপ আমাদের সামনে প্রকাশ হওয়ার জন্য যে অঙ্গটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে চোখ। দৃষ্টিহীন মানুষের মত দুঃখী আমার মতে মনে হয় আর নেই।
দৃষ্টিহীন সেই অন্ধকারের কথা হয়তো দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের অনুভবের বাইরে।
আগেকার দিনে দৃষ্টিহীনরা অন্ধত্বকে সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ বা ভাগ্যের লিখন বলেই মেনে নিতো।
আমরা জানি যে,মানুষ মরে গেলে তার সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গই কিছুদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাই মরেও নিজের চোখ অন্যকে দানের মাধ্যমে চাইলেই বেঁচে থাকা যায় পৃথিবীর আলো-রঙের মাঝে।
মৃত্যুর পর অন্যকে কর্ণিয়া দানের রীতিকেই মূলত বলে মরণোত্তর চক্ষুদান। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির’ তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ লোক দৃষ্টিহীন। যাদের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
সেই দৃষ্টিহিন মানুষদের চোখের আলো বর্তমান প্রযুক্তির সাহায্যে এবং মানবিক সহযোগিতার মাধ্যমে চাইলে আমরাই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারি।
আর সেই লক্ষ্যেই সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম
মৃত্যুর পর তার চোখ দুটো সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির মাধ্যমে দান করার ইচ্ছা পোষণ করেন।