ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ আধ্যাত্মিক সাধনার দিগন্ত “খানকায়ে আহমদিয়া” সৌদির সঙ্গে মিলে রেখে ১১ জেলায় ঈদ উদযাপন এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কখন কুরবানির পশু জবাই করা উত্তম? লক্ষ্মীপুরে রড দিয়ে পিটিয়ে মসজিদের ইমামকে হত্যা করলেন বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী ফুলবাড়ীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট ঈদের ঘরমুখো মানুষের ঢল, যানবাহনের সংকটে চন্দ্রা মোড়ে দুর্ভোগ চরমে ঈদের দুই দিন আগে ছুটি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি মহাসড়কে জরুরি সেবার জন্য ‘হ্যালো অ্যাপ’ চালু: এক ক্লিকেই মিলবে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তা

প্রযুক্তির পাখায় উড়ছে সম্ভাবনা: আনসার সদস্য আবুল হোসেনের উদ্ভাবনী উড়োজাহাজ

মোঃ ফরিদ আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

চিতলমারী, বাগেরহাট থেকে
প্রযুক্তি পছন্দের জেদ আর মেধার পরিশ্রমে নিজের হাতেই তৈরি করেছেন রিমোট কন্ট্রোল (আর.সি.) উড়োজাহাজ ও ড্রোন—বাংলাদেশ আনসারের একজন সাধারণ সদস্য আবুল হোসেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হলেও থেমে থাকেননি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার এই তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমী।

বর্তমানে তিনি চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত একজন আনসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগ ও আগ্রহে ফোম বোর্ড, ইলেকট্রনিক মোটর, লিপো ব্যাটারি, জাইরো সেন্সর, জিপিএস মডিউল, প্রপেলার, সার্ভো মোটরসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি করেছেন বেশ কয়েকটি হালকা ওজনের বিমান ও ড্রোন। এটি মূলত শিক্ষামূলক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ প্রকল্প।

সম্প্রতি তিনি তাঁর নিজের অর্থায়নে নির্মিত একটি এভিয়েশন প্রজেক্ট প্লেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে সফলভাবে উড্ডয়ন করিয়ে সুনিপুণভাবে ভূমিতে অবতরণ করান। উপস্থিত সবাই তাঁর এই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা দেখে অভিভূত হন।

আবুল হোসেন জানান, “প্রত্যেকটি প্লেন তৈরিতে খরচ পড়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আনসার সদস্য হিসেবে আমার আয় সীমিত। কিন্তু আমি চাই ভবিষ্যতে উন্নত মডেলের প্লেন তৈরি করতে এবং তরুণদের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে।”

তিনি আরো বলেন, “যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কিছু আর্থিক অনুদান কিংবা প্রযুক্তিগত সহায়তা পাই, তাহলে আমার এই প্রচেষ্টা আরও বিস্তৃত করা সম্ভব হবে। এতে নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তিমুখী দক্ষতা গড়ে তোলা সহজ হবে।”

বাগেরহাটের মতো এক জেলার গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেও এমন উদ্ভাবনী চিন্তা ও স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আনসার সদস্য আবুল হোসেন নিঃসন্দেহে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর এই প্রচেষ্টা যদি যথাযথ সহায়তা পায়, তবে প্রযুক্তি খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রযুক্তির পাখায় উড়ছে সম্ভাবনা: আনসার সদস্য আবুল হোসেনের উদ্ভাবনী উড়োজাহাজ

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

চিতলমারী, বাগেরহাট থেকে
প্রযুক্তি পছন্দের জেদ আর মেধার পরিশ্রমে নিজের হাতেই তৈরি করেছেন রিমোট কন্ট্রোল (আর.সি.) উড়োজাহাজ ও ড্রোন—বাংলাদেশ আনসারের একজন সাধারণ সদস্য আবুল হোসেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হলেও থেমে থাকেননি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার এই তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমী।

বর্তমানে তিনি চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত একজন আনসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগ ও আগ্রহে ফোম বোর্ড, ইলেকট্রনিক মোটর, লিপো ব্যাটারি, জাইরো সেন্সর, জিপিএস মডিউল, প্রপেলার, সার্ভো মোটরসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি করেছেন বেশ কয়েকটি হালকা ওজনের বিমান ও ড্রোন। এটি মূলত শিক্ষামূলক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ প্রকল্প।

সম্প্রতি তিনি তাঁর নিজের অর্থায়নে নির্মিত একটি এভিয়েশন প্রজেক্ট প্লেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে সফলভাবে উড্ডয়ন করিয়ে সুনিপুণভাবে ভূমিতে অবতরণ করান। উপস্থিত সবাই তাঁর এই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা দেখে অভিভূত হন।

আবুল হোসেন জানান, “প্রত্যেকটি প্লেন তৈরিতে খরচ পড়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আনসার সদস্য হিসেবে আমার আয় সীমিত। কিন্তু আমি চাই ভবিষ্যতে উন্নত মডেলের প্লেন তৈরি করতে এবং তরুণদের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে।”

তিনি আরো বলেন, “যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কিছু আর্থিক অনুদান কিংবা প্রযুক্তিগত সহায়তা পাই, তাহলে আমার এই প্রচেষ্টা আরও বিস্তৃত করা সম্ভব হবে। এতে নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তিমুখী দক্ষতা গড়ে তোলা সহজ হবে।”

বাগেরহাটের মতো এক জেলার গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেও এমন উদ্ভাবনী চিন্তা ও স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আনসার সদস্য আবুল হোসেন নিঃসন্দেহে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর এই প্রচেষ্টা যদি যথাযথ সহায়তা পায়, তবে প্রযুক্তি খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।