ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈদের ঘরমুখো মানুষের ঢল, যানবাহনের সংকটে চন্দ্রা মোড়ে দুর্ভোগ চরমে ঈদের দুই দিন আগে ছুটি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি মহাসড়কে জরুরি সেবার জন্য ‘হ্যালো অ্যাপ’ চালু: এক ক্লিকেই মিলবে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তা এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: রেলওয়ে উপদেষ্টা নিবন্ধনসহ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত পাচ্ছে জামায়াত ঈদের দিনে ৩ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রযুক্তির পাখায় উড়ছে সম্ভাবনা: আনসার সদস্য আবুল হোসেনের উদ্ভাবনী উড়োজাহাজ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি আইন উপদেষ্টাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি ফুলবাড়ীতে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান মোংলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান

ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা: নাটক সাজিয়ে বিচার চাইলেন মা

উপজেলা প্রতিনিধি ভাঙ্গুড়া( পাবনা)
  • আপডেট টাইম : ০১:১৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ১০ ১৫০.০০০ বার পাঠক

পাবনার চাটমোহরে পাঁচ মাস বয়সী ঘুমন্ত কন্যাশিশুকে নদীতে ফেলে হত্যার পর নিখোঁজ নাটক সাজান মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস। ঘটনার পর কান্নাকাটি করে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ভয়াবহ সত্য এই হত্যা করেছেন তিনিই। ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে। নিহত শিশু সোহাগী রানী ওই গ্রামের কমল মন্ডল ও শ্রাবন্তী বিশ্বাস দম্পতির সন্তান।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৩১ মে) সকালে শ্রাবন্তী বিশ্বাস তার শিশুকে বাড়ির উঠানে চৌকিতে শুইয়ে রেখে পাশের বাড়িতে খড় আনতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির পাশের বড়াল নদীতে উপুড় হয়ে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও এলাকাবাসীর সামনে কান্নাকাটি করেন শ্রাবন্তী, এমনকি নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার মামলা দায়ের করতে চান। কিন্তু তার কথাবার্তায় অসামঞ্জস্য দেখা দিলে পুলিশ গভীর তদন্তে নামে।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, “শিশু নিখোঁজ হওয়ার সময় ও মায়ের বর্ণনায় কিছু অসংগতি আমাদের নজরে আসে। এ কারণে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে শিশুটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিয়েছেন তিনি নিজেই।”

চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরজুমা আক্তার সোমবার (২ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “শ্রাবন্তী বিশ্বাস স্বীকার করেছেন যে পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক অস্থিরতার কারণে তিনি মেয়েকে হত্যা করেছেন। পরবর্তীতে নিজেকে আড়াল করতে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে বিচার চাওয়ার অভিনয় করেন। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কমল মন্ডল বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘুমন্ত শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা: নাটক সাজিয়ে বিচার চাইলেন মা

আপডেট টাইম : ০১:১৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

পাবনার চাটমোহরে পাঁচ মাস বয়সী ঘুমন্ত কন্যাশিশুকে নদীতে ফেলে হত্যার পর নিখোঁজ নাটক সাজান মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস। ঘটনার পর কান্নাকাটি করে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ভয়াবহ সত্য এই হত্যা করেছেন তিনিই। ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে। নিহত শিশু সোহাগী রানী ওই গ্রামের কমল মন্ডল ও শ্রাবন্তী বিশ্বাস দম্পতির সন্তান।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৩১ মে) সকালে শ্রাবন্তী বিশ্বাস তার শিশুকে বাড়ির উঠানে চৌকিতে শুইয়ে রেখে পাশের বাড়িতে খড় আনতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির পাশের বড়াল নদীতে উপুড় হয়ে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও এলাকাবাসীর সামনে কান্নাকাটি করেন শ্রাবন্তী, এমনকি নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার মামলা দায়ের করতে চান। কিন্তু তার কথাবার্তায় অসামঞ্জস্য দেখা দিলে পুলিশ গভীর তদন্তে নামে।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, “শিশু নিখোঁজ হওয়ার সময় ও মায়ের বর্ণনায় কিছু অসংগতি আমাদের নজরে আসে। এ কারণে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে শিশুটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিয়েছেন তিনি নিজেই।”

চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরজুমা আক্তার সোমবার (২ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “শ্রাবন্তী বিশ্বাস স্বীকার করেছেন যে পারিবারিক অশান্তি ও মানসিক অস্থিরতার কারণে তিনি মেয়েকে হত্যা করেছেন। পরবর্তীতে নিজেকে আড়াল করতে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে বিচার চাওয়ার অভিনয় করেন। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কমল মন্ডল বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।