ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বরিশালে দুই মাস পর খুলে দেওয়া হলো খলিলের মাংসের দোকান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চোরাইকৃত মিশুকের যন্ত্রাংশ উদ্ধার,তিন গাড়ি চোর গ্রেফতার ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন জুতার দোকানের কর্মচারী রাস্তাতে ধরে মাদক মামলায় ফাসালেন পুলিশ অভিযোগ করেন ফরিদ এই মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ইঙ্গিত আবহাওয়া অফিসের রাজধানীর যেসব এলাকায় বসবে কুরবানির হাট এমপিদের চেয়ে এগিয়ে চেয়ারম্যানরা অবৈধ সম্পদ বেশি অপকর্ম ঢাকতে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে ধরা হল ছাতা গুলোকজ, তোয়ালে

রোজায় ইসুবগুলের ভূষির যত উপকারিতা

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রোজা থাকলে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এজন্য প্রত্যেক রোজাদার ইফতারে শরবত পান করেন। নানা রকম ফল ও ভেষজ উপাদানে এসব শরবত তৈরি হয়। তবে শরবতের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত ইসুবগুলের ভূষি।

বারডেম হাসপাতালের চিফ নিউট্রিশন অফিসার এবং হেড অব ডিপার্টমেন্ট অব নিউট্রিশন (অব.) আখতারুন নাহার আলো জানিয়েছেন, ভিজিয়ে খাওয়ার চেয়ে শুকনা ইসুবগুলের ভূষি বেশি কার্যকর।

তিনি বলেন, ইসুবগুলের ভূষি উদ্ভিদজাত উপাদান এবং এটি আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য এ ভূষি খুবই উপকারি।

কারণ হিসেবে আখতারুন নাহার জানান, ইসুবগুলের ভূষির বৈশিষ্ট্য হলো, এটি দেহে এক ধরনের শীতল আমেজ দেয়। এজন্য রোজা রেখে ইফতারে ভূষির শরবত খেলে ভালো লাগে। ইসুবগুলের ভূষির ভেতর পানি ধারণক্ষমতা অনেক বেশি। এজন্য ভূষি খেলে আমাদের ক্ষুদ্রান্তে বাড়তি একটা চাপ তৈরি। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

এখন কথা হলো কখন ভূষি খেতে হবে এবং কীভাবে? এ বিষয়ে আখতারুন নাহারের পরামর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খাবার গ্রহণের দুই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। আর যদি ওজন কমানোর জন্য কেউ খেতে চান, খাবারের আগে আগে খেলেই হবে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ ভূষি মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এতে খাবারের প্রতি রুচিও বাড়বে।

সব থেকে বড় বিষয়, ইসুবগুলের ভূষির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা নেই। এটি শুকনা খেতে পারলে খুবই উপকার। মুখের মধ্যে কিছু দানা রেখে হালকা গরম পানি খাবেন। ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে ইসুবগুলের ভূষির গুণাগুণ অনেক বেড়ে যায়।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

রোজায় ইসুবগুলের ভূষির যত উপকারিতা

আপডেট টাইম : ০১:০০:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রোজা থাকলে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এজন্য প্রত্যেক রোজাদার ইফতারে শরবত পান করেন। নানা রকম ফল ও ভেষজ উপাদানে এসব শরবত তৈরি হয়। তবে শরবতের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত ইসুবগুলের ভূষি।

বারডেম হাসপাতালের চিফ নিউট্রিশন অফিসার এবং হেড অব ডিপার্টমেন্ট অব নিউট্রিশন (অব.) আখতারুন নাহার আলো জানিয়েছেন, ভিজিয়ে খাওয়ার চেয়ে শুকনা ইসুবগুলের ভূষি বেশি কার্যকর।

তিনি বলেন, ইসুবগুলের ভূষি উদ্ভিদজাত উপাদান এবং এটি আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য এ ভূষি খুবই উপকারি।

কারণ হিসেবে আখতারুন নাহার জানান, ইসুবগুলের ভূষির বৈশিষ্ট্য হলো, এটি দেহে এক ধরনের শীতল আমেজ দেয়। এজন্য রোজা রেখে ইফতারে ভূষির শরবত খেলে ভালো লাগে। ইসুবগুলের ভূষির ভেতর পানি ধারণক্ষমতা অনেক বেশি। এজন্য ভূষি খেলে আমাদের ক্ষুদ্রান্তে বাড়তি একটা চাপ তৈরি। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

এখন কথা হলো কখন ভূষি খেতে হবে এবং কীভাবে? এ বিষয়ে আখতারুন নাহারের পরামর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খাবার গ্রহণের দুই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। আর যদি ওজন কমানোর জন্য কেউ খেতে চান, খাবারের আগে আগে খেলেই হবে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ ভূষি মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এতে খাবারের প্রতি রুচিও বাড়বে।

সব থেকে বড় বিষয়, ইসুবগুলের ভূষির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা নেই। এটি শুকনা খেতে পারলে খুবই উপকার। মুখের মধ্যে কিছু দানা রেখে হালকা গরম পানি খাবেন। ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে ইসুবগুলের ভূষির গুণাগুণ অনেক বেড়ে যায়।