ফুলবাড়ীতে কানাহার দিঘি নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

- আপডেট টাইম : ০১:১৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / ৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কে ১৯৭৮ সালে এককালীন প্রদত্ত ঐতিহাসিক কানাহার দিঘি নিয়ে অপ প্রচারের বিরুদ্ধে ২৪ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে দশটায় ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী আকন্দের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধকালীন জুনিয়র কমান্ডিং অফিসার সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকার।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এছার উদ্দিন ও আব্দুল হাই মোল্লা।
বক্তব্যে বলা হয় ভুতুড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী কানাহার দিঘীটি ফুলবাড়ীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ১৯৭৮ সালে এককালীন বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে সেটি লিজ হিসেবে প্রদান করা হয়।
সে সময় আমরা নিজ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মরহুম লিয়াকত আলিকে প্রজেক্ট প্রধান করে দিঘিটির সার্বিক সংস্কারের জন্য একটি স্ক্রিম প্রণয়ন করি।
অতঃপর ১৯৮১ সাল থেকে অদ্যাবধি ভোগ দখল করে আসছি।
আমরা দিঘীর পশ্চিমপাড়ে ব্যাপকভাবে সংস্কার করে এখানে একটি ঘাট নির্মাণ করি এবং একটি হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা স্থাপন করি,একটি মুর্দা ঘর নির্মাণ করি।
এছাড়াও ঈদের নামাজ আদায় এর জন্য ঈদগাহ মাঠ স্থাপনে সহযোগিতা করেছি।
৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর ফুলবাড়ীর স্থানীয় জনৈক সংবাদকর্মী হারুনুর রশিদ অনাকাঙ্ক্ষিত সুযোগ নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন এবং আমাদের সাথে কানাহার দিঘির আয় অর্জিত টাকা বিষয়ে নানা ধরনের অস্বস্তিকর কথাবার্তা বলছেন।
যা তার এখতিয়ারে পড়ে না।
এছাড়াও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এছার উদ্দিন এর নিকট এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দিঘিটি ৪৪ বছর যাবৎ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অদ্যাবধি যথাযথভাবে দখলরত রয়েছে।
সাংবাদিক হারুন প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়েছেন দিঘিটি আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া অপ তৎপরতা চালাচ্ছে।
সংবাদকর্মী হারুন ঐ দিঘিতে মাছ ধরতে দিবেন না এবং বাধা সৃষ্টি করবেন মর্মে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের নিয়োগকৃত কেয়ারটেকারের নিকট থেকে আমাদের অজ্ঞাতে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছে।টাকা নেওয়ার পরেও ফুলবাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক এসব কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সমন্বয় ও লিয়াজু কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম জনাব আলী শাহ আবুল কাশেম জামাল উদ্দিন। মত বিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন এবং বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় হারুনদের মত হলুদ সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতার মত পবিত্র দায়িত্ব কলুষিত হচ্ছে।
এই ধরনের অপ সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
বরং ইহা দেশের জনগণ-সমাজে বিভেদ-বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে।