মোংলায় প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চাঁদপাই ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিকের বিরুদ্ধে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন দুলাল বিশ্বাস নামের এক হতদরিদ্র কৃষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ মানুষের জমি আত্মসাৎ করে আসছেন। কখনো জাল দলিল, কখনো ভুয়া সাক্ষী তৈরি করে, আবার কখনো প্রভাব খাটিয়ে জমির প্রকৃত মালিকদের উচ্ছেদ করছেন।

দুলাল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, “আমার পৈতৃক ভিটেমাটি কয়েক প্রজন্ম ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীর মল্লিক আমার জমিটি নিজের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করে। পরে আমি জানতে পারি, ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সে জমির মালিকানা দাবি করেছে। প্রভাবশালীদের মদতে আমি কিছুই করতে পারছি না।” দুলাল বিশ্বাস আরও জানান, তিনি আদালতে প্রতারনার বিষয়ে অভিযোগ করলে জাহাঙ্গীর মল্লিকের লোকজন তাকে হুমকি দিতে শুরু করে। একাধিকবার তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, শুধু দুলাল বিশ্বাসই নয়, আরও অনেকেই জাহাঙ্গীর মল্লিকের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তবে তার প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। উল্লেখ্য জাহাঙ্গীর মল্লিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে শিশু ধর্ষণ মামলা সহ বিভিন্ন মেয়াদে একাধিক মামলা রয়েছে। তার কালো থাবায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ভুক্তভোগী দুলাল বিশ্বাস আরো জানান, প্রথমে সে আমার সাথে খুব সুসম্পর্ক তৈরি করে। তারপর কৌশলে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে দুই একর সম্পত্তি লিখে নেয়। যে জমির বর্তমান মূল্য ৪১ লক্ষ টাকা । মনে যশো জাহাঙ্গীর মল্লিক আমাকে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করলেও বাকি টাকা এখন পর্যন্ত দেয়নি । তার কাছে টাকা চাইতে গেলে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। যে কোন সময় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে প্রশাসনের সাহায্য কামনা করেন দুলাল বিশ্বাস।

ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর মল্লিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্থানীয়রা একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মোংলা থানার ওসি জানান, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেউ প্রতারিত হলে থানায় এসে অভিযোগ জানাতে পারেন।” ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ প্রতারণার শিকার না হন।