ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত শিশু সহ আহত ৯ আমেরিকা হামলা চালালে ইরানও ‘কঠোর জবাব’ দেবে: খামেনি ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ সুখ ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় ক্রিকেটারদের ঈদ বার্তা ঈদের পর রাজনীতি নিয়ে কী পরিকল্পনা বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপির? গাজীপুরের কাশিমপুরে  ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পটুয়াখালীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে নিহত ১ গুরুতর আহত ২ জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল, প্রধান জামাত শুরু সকাল সাড়ে ৮টায় দেশবাসীকে জামায়াত আমিরের ঈদের শুভেচ্ছা পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, স্বপ্নের মুক্তি ফাউন্ডেশন, এর প্রতিষ্ঠাতা, আব্দুল্লাহ আল অভি, এর উদ্যোগে, আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেহেদি উৎসব

চবিতে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ নিম্নমান সহকারীর

চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / ১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখার নিম্নমান সহকারী মো. এমরান হোসেনকে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম সই করা এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ওই আদেশে বলা হয়, মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ (পনেরো) জনকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫(বি) ধারা অনুসারে তাকে ২৫ মার্চ থেকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।

এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সভাপতি ড. এন এম সাজাদুল হক এবং শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।

জানা যায়, এসব লেনদেনের অভিযোগ সাবেক ভিসি অধ্যাপক শিরীণ আখতারের সময়ের। মঙ্গলবার চবি প্রশাসন এমরান হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ খবরে অফিস থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুনরায় অফিসে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তবে পুলিশ ক্যাম্পাসে আসলেও তাকে আর সোপর্দ করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, চবির নিয়োগ বাণিজ্যে একটি নিয়োগ সিন্ডিকেটের ব্যাপারে দীর্ঘদিনের জনশ্রুতি ছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছি যে এরকম কোনো সিন্ডিকেট থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। তাই সম্প্রতি শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করার হয়েছে। এরপর আমরা শুনতে পেলাম এখানে একটা চক্র ডেভেলপ করেছে যারা বিভিন্ন জনকে চাকরি দিবে বলে মানুষের থেকে টাকা দাবি করে।

তিনি আরও বলেন, পরে খোঁজখবর নিয়ে আমাদেরই এক কর্মচারী এমরান হোসেনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানা যায়। সে আগেও এরকম কাজ করেছে কিন্তু কোনো প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও দেশীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চবিতে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ নিম্নমান সহকারীর

আপডেট টাইম : ০৮:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখার নিম্নমান সহকারী মো. এমরান হোসেনকে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম সই করা এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ওই আদেশে বলা হয়, মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ (পনেরো) জনকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫(বি) ধারা অনুসারে তাকে ২৫ মার্চ থেকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।

এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের সভাপতি ড. এন এম সাজাদুল হক এবং শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া।

জানা যায়, এসব লেনদেনের অভিযোগ সাবেক ভিসি অধ্যাপক শিরীণ আখতারের সময়ের। মঙ্গলবার চবি প্রশাসন এমরান হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ খবরে অফিস থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুনরায় অফিসে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তবে পুলিশ ক্যাম্পাসে আসলেও তাকে আর সোপর্দ করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, চবির নিয়োগ বাণিজ্যে একটি নিয়োগ সিন্ডিকেটের ব্যাপারে দীর্ঘদিনের জনশ্রুতি ছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছি যে এরকম কোনো সিন্ডিকেট থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। তাই সম্প্রতি শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করার হয়েছে। এরপর আমরা শুনতে পেলাম এখানে একটা চক্র ডেভেলপ করেছে যারা বিভিন্ন জনকে চাকরি দিবে বলে মানুষের থেকে টাকা দাবি করে।

তিনি আরও বলেন, পরে খোঁজখবর নিয়ে আমাদেরই এক কর্মচারী এমরান হোসেনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানা যায়। সে আগেও এরকম কাজ করেছে কিন্তু কোনো প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও দেশীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।