মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
![](https://somoyerkontha.com/wp-content/uploads/2024/10/FB_IMG_1727975776303.jpg)
- আপডেট টাইম : ০১:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক
ওমর ফারুক : মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের সাথে তার নিজ বাসভবনে গোপন বৈঠক করার প্রতিবাদে পৌর বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহরে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেছে ।
১২ জানুয়ারী বিকাল ৫ টায় পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত এ বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময়ে ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,মোংলা পৌর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায় সাবেক কাউন্সিলর মোঃ এমরান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হানিফ শেখ, যুগ্ন আহবায় সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খোরশেদ আলম, বাগেরহাট জেলা যুবদলের সদস্য, সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আলাউদ্দিন, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিএনপি’র সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
এ সময় বক্তারা মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার একজন নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি হলেন উপজেলার অভিভাবক। কিন্তু সেই অভিভাবক যদি ফ্যাসিবাদ হয় এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হয় তাহলে সেই রকম অভিভাবক আমরা চাই না। যেখানে সারাদেশে সরকার ঘোষিত” অপারেশন ডেভিল হান্ট” পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে কি করে একজন
টি,এন,ও মোংলায় চিহ্নিত বিনা ভোটের চেয়ারম্যান আওয়ামী সন্ত্রাসী লিডারদের সাথে তার নিজ বাসভবনে গোপন বৈঠক করেন। তিনি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের দোসর। সাধারণ মানুষ তাকে ফোন করলে ফোন ধরেন না । মোংলা পোর্ট পৌরসভার উন্নয়ন হোক, মোংলা উপজেলার উন্নয়ন হোক এটা তিনি চান না। তিনি মোংলা পোর্ট পৌরসভার কোন ফাইলে স্বাক্ষর করেন না। এতে করে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সকল উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এর সঙ্গে পৌর সচিবও জড়িত। যে সকল প্রজেক্ট থেকে পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা আসতো সেই টাকা গুলো আসা বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ হলো তিনি আওয়ামী পরিবারের সদস্য। ছাত্রী জীবনে তিনি ছাত্রলীগ করেছেন। আওয়ামী লীগের কোঠায় তার চাকরি হয়েছে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের দোসর বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনকে জেলা প্রশাসক মহোদয় আগামী ২৪ ঘন্টার ভিতরে যদি তাকে অপসারণ করেন। তাহলে ২৪ ঘন্টা পরে তারা উপজেলা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে।