ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

বিউটি খাতুন ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে।

পুলিশ ও কারখানা শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নীটওয়্যার ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটোকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিকেলে শ্রমিকদের সাথে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। পরে সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্ষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করে শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

জ্যামে আটকে থাকা আজমেরী পরিবহণের চালক
আরিফুল বলেন,তিন ঘন্টা ধরে জ্যামে আটকা আছি। যাত্রী সবাই নেমে গেছে সারাদিন আজকে
আর ইনকাম হবেনা।

পিক-আপ ভ্যান চালক শফিকুল বলেন,আমি প্রায়
আড়াই ঘন্টা যাবত বসে আছি। গাড়ীতে কাঁচা মাল
রয়েছে সময় মতো যেতে না পারলে ক্ষতি নষ্ট হয়ে
যাবে। আড়ৎ থেকে বারবার ফোন দিচ্ছ।

পথচারী আয়েশা বলেন,বাইমাইল সাইন বোর্ড এলাকা থেকে ছোট বাচ্চা নিয়ে পায়ে হেঁটে আসতেছি। আন্দোলন করবে তারা ভোগান্তি আমাদের।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ -২ এর পুলিশ সুপার মো
মিজানুর রহমান বলেন,শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা
খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে
কথা বলার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে আমাদের শিল্পপুলিশ রয়েছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট টাইম : ০৯:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে।

পুলিশ ও কারখানা শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নীটওয়্যার ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটোকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিকেলে শ্রমিকদের সাথে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। পরে সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্ষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করে শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

জ্যামে আটকে থাকা আজমেরী পরিবহণের চালক
আরিফুল বলেন,তিন ঘন্টা ধরে জ্যামে আটকা আছি। যাত্রী সবাই নেমে গেছে সারাদিন আজকে
আর ইনকাম হবেনা।

পিক-আপ ভ্যান চালক শফিকুল বলেন,আমি প্রায়
আড়াই ঘন্টা যাবত বসে আছি। গাড়ীতে কাঁচা মাল
রয়েছে সময় মতো যেতে না পারলে ক্ষতি নষ্ট হয়ে
যাবে। আড়ৎ থেকে বারবার ফোন দিচ্ছ।

পথচারী আয়েশা বলেন,বাইমাইল সাইন বোর্ড এলাকা থেকে ছোট বাচ্চা নিয়ে পায়ে হেঁটে আসতেছি। আন্দোলন করবে তারা ভোগান্তি আমাদের।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ -২ এর পুলিশ সুপার মো
মিজানুর রহমান বলেন,শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা
খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে
কথা বলার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে আমাদের শিল্পপুলিশ রয়েছেন।