ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে দলিল জালিয়াতি করে নামজারি করতে এসে একজন গ্রেফতার রায়পুরের টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭ ছাত্রী ভৈরবে পৌর আওয়ামীলীগ কর্মী তপন গ্রেফতার রায়পুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু চট্টগ্রাম টেস্ট চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল নুরের জনসভার জন্য পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন মিরপুরে বিক্ষোভরত গার্মেন্টসকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সংঘাত মসজিদ এবং মসজিদের ইমাম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে : মাওলানা রুহুল আমিন সেই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুলকে আনা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে নারীদের কথা যেন শুনতে না পারেন অন্য নারীরা’, আফগানিস্তানে নতুন নিষেধাজ্ঞা

সেই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুলকে আনা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে

আশুলিয়া সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যা এবং বেশ কয়েকজনের লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতারের পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনালে তাকে উঠানো হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আতংকে এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শহীদুল। অবৈধ পথে দেশত্যাগেরও পরিকল্পনা ছিলো তার।

এদিকে ১৫ নভেম্বর পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার শুরু হবে আশা করছেন, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।

ওই দিন বিকালেই লাশে স্তূপে আরও লাশ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, বীভৎস ও নারকীয় ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন ওসি সায়েদ। ওই সময় তিনি ডিউটি করছিলেন সিভিল ড্রেসে। পরনে ছিল নীল রঙের পোলো শার্ট, কালো রঙের ট্রাউজার। এক হাতে ব্যান্ডেজ। ট্রাউজারের পকেটে ছিল ওয়্যারলেস সেট। প্রচণ্ড টেনশনে খেয়েছেন একের পর এক সিগারেট।

সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পরিদর্শক, উপপরিদর্শক এবং কনস্টেবল পদের প্রত্যক্ষদর্শী ৪ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, লাশ ভ্যানে তোলার পূর্বপর ঘটনাজুড়ে যা কিছু ঘটেছে সব কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।

তার নির্দেশেই মরদেহ পড়ানোর জন্য পেট্রোল জোগাড় করেছিলেন আশুলিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন ও আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির। প্লাস্টিকের বোতলে করে আনা হয়েছিল পেট্রোল। ৩ দফায় গাড়িটিতে ছিটানো হয় পেট্রোল।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এসআই (নিরস্ত্র) পদে পুলিশে যোগ দেওয়া এ এফ এম সায়েদ খুলনা মহানগরের ৪নং মিয়াপাড়া মহল্লার মো. ইসমাইলের ছেলে। তার পুলিশ পরিচিতি নং -বিপি-৮০০৬১৪৫৩৩৬।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সেই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুলকে আনা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে

আপডেট টাইম : ০৫:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যা এবং বেশ কয়েকজনের লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতারের পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনালে তাকে উঠানো হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আতংকে এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শহীদুল। অবৈধ পথে দেশত্যাগেরও পরিকল্পনা ছিলো তার।

এদিকে ১৫ নভেম্বর পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার শুরু হবে আশা করছেন, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।

ওই দিন বিকালেই লাশে স্তূপে আরও লাশ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, বীভৎস ও নারকীয় ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন ওসি সায়েদ। ওই সময় তিনি ডিউটি করছিলেন সিভিল ড্রেসে। পরনে ছিল নীল রঙের পোলো শার্ট, কালো রঙের ট্রাউজার। এক হাতে ব্যান্ডেজ। ট্রাউজারের পকেটে ছিল ওয়্যারলেস সেট। প্রচণ্ড টেনশনে খেয়েছেন একের পর এক সিগারেট।

সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পরিদর্শক, উপপরিদর্শক এবং কনস্টেবল পদের প্রত্যক্ষদর্শী ৪ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, লাশ ভ্যানে তোলার পূর্বপর ঘটনাজুড়ে যা কিছু ঘটেছে সব কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।

তার নির্দেশেই মরদেহ পড়ানোর জন্য পেট্রোল জোগাড় করেছিলেন আশুলিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন ও আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির। প্লাস্টিকের বোতলে করে আনা হয়েছিল পেট্রোল। ৩ দফায় গাড়িটিতে ছিটানো হয় পেট্রোল।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এসআই (নিরস্ত্র) পদে পুলিশে যোগ দেওয়া এ এফ এম সায়েদ খুলনা মহানগরের ৪নং মিয়াপাড়া মহল্লার মো. ইসমাইলের ছেলে। তার পুলিশ পরিচিতি নং -বিপি-৮০০৬১৪৫৩৩৬।