ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

করুনারত্নে-ওশাদার ব্যাটে শ্রীলঙ্কার ড্র

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৭৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

শেষ দিনের উইকেট ভীষণ মন্থর, কিন্তু টার্ন ততটা নেই। পেসারদের জন্য নেই সুইং-বাউন্স। ব্যাটসম্যানদের কাজ শুধু উইকেটে পড়ে থাকা। দিমুথ করুনারত্নে, ওশাদা ফার্নান্দো সেটিই করলেন দারুণভাবে। শেষ দিনের সম্ভাব্য রোমাঞ্চে কিছুটা জল ঢেলে দিল বৃষ্টিও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কার শেষের লড়াই তাই আর জমল না সেভাবে।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে উত্তেজনার রসদ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্র। প্রথম টেস্টও দেখেছিল একই ফল। দুই ম্যাচের সিরিজও তাই ড্র।

শেষ দিনে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৩৪৮ রান। অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের লড়াই ছিল ম্যাচ বাঁচানোর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০ উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। কিন্তু প্রাণহীন উইকেটে পেরে ওঠেননি ক্যারিবিয়ান বোলাররা। ফাস্ট বোলার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায়ও কমে যায় বোলিংয়ের শক্তি। বৃষ্টি তো ছিলই।

ড্রয়ের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৩ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা।

সিরিজে আগের তিন ইনিংস মিলিয়ে ১৬ রান করার পর এবার লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে খেলে ৭৫ রানের ইনিংস। তিনে নেমে ওশাদা অপরাজিত থেকে যান ৬৬ রানে।

লঙ্কানদের লড়াইয়ের তাড়না বুঝিয়ে দেয় লাহিরু থিরিমান্নে ও করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিই। ২৩২ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন দুজন।

যদিও জুটি ভাঙতে পারত আগেই। দিনের তৃতীয় ওভারেই সুযোগ দিয়েছিলেন থিরিমান্নে। গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটের পেছনে নেই ক্যাচ নিতে পারেননি জশুয়া দা সিলভা। আর সুযোগ দেয়নি এই জুটি।

সিরিজে টানা তিন ফিফটির পর থিরিমান্নে এবার আউট হন ৩৯ রান করে।

করুনারত্নে দীর্ঘসময় টিকে থাকেন অস্বস্তি নিয়ে। ছন্দ পাচ্ছিলেন না। তবু টিকে থাকেন লড়াই করে। পরে খুঁজে পান নিজেকে। ওশাদার সঙ্গে জুটিতে ১০৫ বল টিকে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত করে দেন ড্র।

চার ঘণ্টার বেশি সময় উইকেটে কাটিয়ে ১৭৬ বলে ৭৫ রান করে শেষ হয় করুনারত্নের প্রতিরোধ।

ওশাদা ও দিনেশ চান্দিমাল এরপর নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন সময়। ওশাদা অপরাজিত থাকেন ১১৯ বলে ৮ চারে ৬৬ রান করে।

দুই ইনিংসে ১২৬ ও ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। পেস প্রতিকূল উইকেটও দারুণ বোলিংয়ে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৩৫৪

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ২৫৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : ২৮০/৪ (ডি.)

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৭৭, আগের দিন ২৯/০) ৭৯ ওভারে ১৯৩/২ (থিরিমান্নে ৩৯, করুনারত্নে ৭৫, ওশাদা ৬৬*, চান্দিমাল ১০*; রোচ ১২-২-৩৩-০, হোল্ডার ১০-৩-২৪-০, কর্নওয়াল ২৬.৪-৮-৫৩-০, গ্যাব্রিয়েল ৫.২-০-২০-০, জোসেফ ১০-১-৩৩-১, ব্ল্যাকউড ৬-১-১৭-০, ব্র্যাথওয়েট ৩-০-৭-০, মেয়ার্স ৬-৪-৫-১)।

ফল : ম্যাচ ড্র।

সিরিজ : ২ ম্যাচের সিরিজ ০-০ ড্র্।

ম্যান অব দা ম্যাচ : ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

ম্যান অব দা সিরিজ : সুরাঙ্গা লাকমল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করুনারত্নে-ওশাদার ব্যাটে শ্রীলঙ্কার ড্র

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

শেষ দিনের উইকেট ভীষণ মন্থর, কিন্তু টার্ন ততটা নেই। পেসারদের জন্য নেই সুইং-বাউন্স। ব্যাটসম্যানদের কাজ শুধু উইকেটে পড়ে থাকা। দিমুথ করুনারত্নে, ওশাদা ফার্নান্দো সেটিই করলেন দারুণভাবে। শেষ দিনের সম্ভাব্য রোমাঞ্চে কিছুটা জল ঢেলে দিল বৃষ্টিও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কার শেষের লড়াই তাই আর জমল না সেভাবে।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে উত্তেজনার রসদ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্র। প্রথম টেস্টও দেখেছিল একই ফল। দুই ম্যাচের সিরিজও তাই ড্র।

শেষ দিনে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৩৪৮ রান। অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের লড়াই ছিল ম্যাচ বাঁচানোর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০ উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। কিন্তু প্রাণহীন উইকেটে পেরে ওঠেননি ক্যারিবিয়ান বোলাররা। ফাস্ট বোলার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায়ও কমে যায় বোলিংয়ের শক্তি। বৃষ্টি তো ছিলই।

ড্রয়ের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৩ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা।

সিরিজে আগের তিন ইনিংস মিলিয়ে ১৬ রান করার পর এবার লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে খেলে ৭৫ রানের ইনিংস। তিনে নেমে ওশাদা অপরাজিত থেকে যান ৬৬ রানে।

লঙ্কানদের লড়াইয়ের তাড়না বুঝিয়ে দেয় লাহিরু থিরিমান্নে ও করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিই। ২৩২ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন দুজন।

যদিও জুটি ভাঙতে পারত আগেই। দিনের তৃতীয় ওভারেই সুযোগ দিয়েছিলেন থিরিমান্নে। গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটের পেছনে নেই ক্যাচ নিতে পারেননি জশুয়া দা সিলভা। আর সুযোগ দেয়নি এই জুটি।

সিরিজে টানা তিন ফিফটির পর থিরিমান্নে এবার আউট হন ৩৯ রান করে।

করুনারত্নে দীর্ঘসময় টিকে থাকেন অস্বস্তি নিয়ে। ছন্দ পাচ্ছিলেন না। তবু টিকে থাকেন লড়াই করে। পরে খুঁজে পান নিজেকে। ওশাদার সঙ্গে জুটিতে ১০৫ বল টিকে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত করে দেন ড্র।

চার ঘণ্টার বেশি সময় উইকেটে কাটিয়ে ১৭৬ বলে ৭৫ রান করে শেষ হয় করুনারত্নের প্রতিরোধ।

ওশাদা ও দিনেশ চান্দিমাল এরপর নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন সময়। ওশাদা অপরাজিত থাকেন ১১৯ বলে ৮ চারে ৬৬ রান করে।

দুই ইনিংসে ১২৬ ও ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। পেস প্রতিকূল উইকেটও দারুণ বোলিংয়ে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৩৫৪

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ২৫৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : ২৮০/৪ (ডি.)

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৭৭, আগের দিন ২৯/০) ৭৯ ওভারে ১৯৩/২ (থিরিমান্নে ৩৯, করুনারত্নে ৭৫, ওশাদা ৬৬*, চান্দিমাল ১০*; রোচ ১২-২-৩৩-০, হোল্ডার ১০-৩-২৪-০, কর্নওয়াল ২৬.৪-৮-৫৩-০, গ্যাব্রিয়েল ৫.২-০-২০-০, জোসেফ ১০-১-৩৩-১, ব্ল্যাকউড ৬-১-১৭-০, ব্র্যাথওয়েট ৩-০-৭-০, মেয়ার্স ৬-৪-৫-১)।

ফল : ম্যাচ ড্র।

সিরিজ : ২ ম্যাচের সিরিজ ০-০ ড্র্।

ম্যান অব দা ম্যাচ : ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

ম্যান অব দা সিরিজ : সুরাঙ্গা লাকমল।