ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন দেশের মঙ্গলে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ

কালিয়াকৈরে দুই সহোদরের হাতে বন্ধু খুন

মোঃ ফরিদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৬ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি দশতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে বন্ধুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবক সাব্বির হোসেন (২০) আন্ধার মানিক গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত দুই সহোদর রাকিব ও সাকিব, আব্দুর রহিমের পুত্র। স্থানীয়দের ধারণা, রাকিব ও সাকিব এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকতে পারে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে ইউনিক টাওয়ারের ছাদে সাব্বিরকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং একটি বাটি উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে রাকিব, সাকিব এবং সাব্বির একসাথে জিম সেন্টারে শারীরিক চর্চা শেষ করে রাকিব ও সাকিবের বাসা ইউনিক টাওয়ারের ছাদে ঘুরতে যায়। সঙ্গে ছিল করণ ও সোহান নামের দুই কিশোর। রাকিব ও সাকিব করণ ও সোহানকে মুড়ি ও দেশলাই আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর করণ ও সোহান ফিরে আসার সময় নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পায় এবং সেখানে গিয়ে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা নখ ও রক্তমাখা অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে।

স্থানীয়রা বিকট শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাব্বিরকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত রাকিব ও সাকিব ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের (থাকার ঘর) ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করবে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয়রা দাবি জানাচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালিয়াকৈরে দুই সহোদরের হাতে বন্ধু খুন

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি দশতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে বন্ধুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবক সাব্বির হোসেন (২০) আন্ধার মানিক গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত দুই সহোদর রাকিব ও সাকিব, আব্দুর রহিমের পুত্র। স্থানীয়দের ধারণা, রাকিব ও সাকিব এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকতে পারে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে ইউনিক টাওয়ারের ছাদে সাব্বিরকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং একটি বাটি উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে রাকিব, সাকিব এবং সাব্বির একসাথে জিম সেন্টারে শারীরিক চর্চা শেষ করে রাকিব ও সাকিবের বাসা ইউনিক টাওয়ারের ছাদে ঘুরতে যায়। সঙ্গে ছিল করণ ও সোহান নামের দুই কিশোর। রাকিব ও সাকিব করণ ও সোহানকে মুড়ি ও দেশলাই আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর করণ ও সোহান ফিরে আসার সময় নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পায় এবং সেখানে গিয়ে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা নখ ও রক্তমাখা অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে।

স্থানীয়রা বিকট শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাব্বিরকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত রাকিব ও সাকিব ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের (থাকার ঘর) ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করবে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয়রা দাবি জানাচ্ছে।