ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে রেলওয়ে জংশনের সামনে সিগন্যালের তার সহ ২জন চোর গ্রেফতার মোংলায় সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল মনিরুজ্জামান: গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত// প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর আমাদের জন্য ইতিবাচক ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাড়ির টানে গ্রামে সবাই, রাজধানী ‘ফাঁকা’ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য,পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হোটেল-রিসোর্ট রাফা খালি করে দিতে বলল ইসরাইলি বাহিনী আজমিরীগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত শিশু সহ আহত ৯ আমেরিকা হামলা চালালে ইরানও ‘কঠোর জবাব’ দেবে: খামেনি ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

পেটে বাবু আছে, মাইর না’ বলেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সীমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর এক অন্তঃসত্ত্বা নারী খুন হয়েছে দুর্বৃত্তের ছুরিতে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া স্কুলের পেছনের এক বাসায় ঢুকে সিমা আক্তার (২২) নামের ওই নারীকে ছুরি মারা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওইদিন সন্ধ্যার পর সিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে; বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।

সীমার পরিবার জানায়, সীমা তার স্বামী জুয়েল রানার সঙ্গে উত্তর যাত্রাবাড়ীতে শহীদ জিয়া স্কুলের পেছনে থাকতেন। জুয়েল পেশায় ফল বিক্রেতা। তাদের চার বছরের এক ছেলে আছে। সীমার বাবা মলাই কাজী ফল বিক্রেতা। সীমার বাসা তার বাবার বাসার কাছেই ছিল।

সীমার বাবা মলাই কাজী ও বড় ভাই নাসিরউদ্দিন গণমাধককে জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সীমা তার বাবার বাসায় যান। এ সময় অপরিচিত এক দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সীমাকে ছুরিকাঘাত করতে যায়। এতে ভড়কে যান সীমা। তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করে বলছিলেন, ‘আমি অন্তঃসত্ত্বা, আমাকে মাইরেন না’। এই আর্তনাদ শুনে সীমার মা রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে দেখেন সীমা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ছটফট করছেন। তখন সীমাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার করে সীমার গর্ভ থেকে সন্তানকে বের করে আনা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। আর সীমা আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।

ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই যাত্রবাড়ী থানা থেকে সাদা পোশাকের দুই পুলিশ সদস্য এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছেন বলে জানান সিমার ভাই।

সীমার বাবা বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা তারা কেউ জানতে পারেননি। আর মৃত্যুর আগে আহত সীমাও হামলাকারীকে চেনেন না বলে জানিয়েছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সিমা ও তার নবজাতকের মরদেহ মর্গে রয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পেটে বাবু আছে, মাইর না’ বলেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

সীমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর এক অন্তঃসত্ত্বা নারী খুন হয়েছে দুর্বৃত্তের ছুরিতে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া স্কুলের পেছনের এক বাসায় ঢুকে সিমা আক্তার (২২) নামের ওই নারীকে ছুরি মারা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওইদিন সন্ধ্যার পর সিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে; বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।

সীমার পরিবার জানায়, সীমা তার স্বামী জুয়েল রানার সঙ্গে উত্তর যাত্রাবাড়ীতে শহীদ জিয়া স্কুলের পেছনে থাকতেন। জুয়েল পেশায় ফল বিক্রেতা। তাদের চার বছরের এক ছেলে আছে। সীমার বাবা মলাই কাজী ফল বিক্রেতা। সীমার বাসা তার বাবার বাসার কাছেই ছিল।

সীমার বাবা মলাই কাজী ও বড় ভাই নাসিরউদ্দিন গণমাধককে জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সীমা তার বাবার বাসায় যান। এ সময় অপরিচিত এক দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সীমাকে ছুরিকাঘাত করতে যায়। এতে ভড়কে যান সীমা। তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করে বলছিলেন, ‘আমি অন্তঃসত্ত্বা, আমাকে মাইরেন না’। এই আর্তনাদ শুনে সীমার মা রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে দেখেন সীমা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ছটফট করছেন। তখন সীমাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার করে সীমার গর্ভ থেকে সন্তানকে বের করে আনা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। আর সীমা আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।

ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই যাত্রবাড়ী থানা থেকে সাদা পোশাকের দুই পুলিশ সদস্য এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছেন বলে জানান সিমার ভাই।

সীমার বাবা বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা তারা কেউ জানতে পারেননি। আর মৃত্যুর আগে আহত সীমাও হামলাকারীকে চেনেন না বলে জানিয়েছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সিমা ও তার নবজাতকের মরদেহ মর্গে রয়েছে।