ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

রায়পুরে কমতেছে পানি, কমেনি দুর্ভোগ

মোঃ জহির হোসেন, রায়পুর, লক্ষীপুর :
  • আপডেট টাইম : ০১:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে,ধীরে ধীরে পানি কমলেও কমেনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ । উপজেলা শহরের বেশিরভাগ এলাকার সড়কে এখনো হাঁটুপানি। এসব এলাকায় যাতায়াতের নৌকা অথবা কলা গাছের ভেলা ব্যবহার করা হয়।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে সূর্যের দেখা দিলে স্থানীয়দের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হলে প্লাবিত এলাকাগুলি অনেকটাই পানি কমে যাবে এমনটাই আশা করছেন তাহারা।

এদিকে, পৌর শহরে বন্যায় বিধ্বস্ত ঘর মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে আছেন স্থানীয়রা।
১০ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ৩ হাজার ৭৩৮ জন। আগের দিন ছিলেন সাড়ে ৪ হাজার। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র।

বামনী গ্রামের বাসিন্দা মুসলি উদ্দিন  বলেন, ঘরে ছয় দিন ধরে পানি জমে আছে। এখনো ঘরে সামান্য পানি আছে,। পানি দ্রুত নামলে এতো ক্ষতি হতো না।

পৌর শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে ওঠেছেন মিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও দুই-তিনদিন পর ঘরে ফিরতে পারবো। পানি নামার পর কাঁচা ঘরটি পড়ে যায় কিনা এ আতঙ্ক তো আছেই।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান জানান, রায়পুরে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত কমছে না। অনেকটাই বিপদ কেটেছে এখন অবনতির শঙ্কা কম রয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রায়পুরে কমতেছে পানি, কমেনি দুর্ভোগ

আপডেট টাইম : ০১:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে,ধীরে ধীরে পানি কমলেও কমেনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ । উপজেলা শহরের বেশিরভাগ এলাকার সড়কে এখনো হাঁটুপানি। এসব এলাকায় যাতায়াতের নৌকা অথবা কলা গাছের ভেলা ব্যবহার করা হয়।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে সূর্যের দেখা দিলে স্থানীয়দের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হলে প্লাবিত এলাকাগুলি অনেকটাই পানি কমে যাবে এমনটাই আশা করছেন তাহারা।

এদিকে, পৌর শহরে বন্যায় বিধ্বস্ত ঘর মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে আছেন স্থানীয়রা।
১০ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ৩ হাজার ৭৩৮ জন। আগের দিন ছিলেন সাড়ে ৪ হাজার। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র।

বামনী গ্রামের বাসিন্দা মুসলি উদ্দিন  বলেন, ঘরে ছয় দিন ধরে পানি জমে আছে। এখনো ঘরে সামান্য পানি আছে,। পানি দ্রুত নামলে এতো ক্ষতি হতো না।

পৌর শহরের সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে ওঠেছেন মিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও দুই-তিনদিন পর ঘরে ফিরতে পারবো। পানি নামার পর কাঁচা ঘরটি পড়ে যায় কিনা এ আতঙ্ক তো আছেই।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান জানান, রায়পুরে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত কমছে না। অনেকটাই বিপদ কেটেছে এখন অবনতির শঙ্কা কম রয়েছে।