ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের শ্রমিকদের ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরুদ্ধ

মোঃ ফরিদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০০ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর শ্রমিকরা ২১ দফা দাবির ভিত্তিতে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার সফিপুর এলাকায় অবস্থিত দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর শ্রমিকরা কর্ম বিরতি দিয়ে ২১ দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করে।

পরে আন্দোলনকারীরা মূল ফটো অতিক্রম করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, এবং অসৎ কর্মকর্তাদের অপসারণসহ তাদের বিভিন্ন দাবির আদায়ে শ্রমিকরা এই আন্দোলনে অংশ নেন।

এসময় বিক্ষোভের কারণে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় যা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। ফলে হাজার হাজার যানবাহন আটকে যায় এবং সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান , শ্রমিকদের প্রধান দাবি হচ্ছে তাদের চাকরির স্থায়ীকরণ, বর্তমান বেতনের সমন্বয় এবং উৎসব ভাতা (ঈদ ও বৈশাখী) সমপরিমাণে প্রদান। এছাড়াও তারা অভিযোগ করেছেন যে, বেশ কিছু অসৎ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সাথে অমানবিক আচরণ করে আসছেন এবং ন্যায্য পাওনা থেকে তাদের বঞ্চিত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানানো হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এরই প্রেক্ষাপটে নিজেদের অধিকার রক্ষায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

ক্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে জরুরি সেবা গ্রহীতারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য সেবা সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং তাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও প্রশাসনের পদক্ষেপ: এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাদের দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।।

শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যা প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে আন্দোলনরত শ্রমিকদের।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের শ্রমিকদের ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরুদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৯:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর শ্রমিকরা ২১ দফা দাবির ভিত্তিতে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার সফিপুর এলাকায় অবস্থিত দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর শ্রমিকরা কর্ম বিরতি দিয়ে ২১ দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করে।

পরে আন্দোলনকারীরা মূল ফটো অতিক্রম করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, এবং অসৎ কর্মকর্তাদের অপসারণসহ তাদের বিভিন্ন দাবির আদায়ে শ্রমিকরা এই আন্দোলনে অংশ নেন।

এসময় বিক্ষোভের কারণে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় যা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। ফলে হাজার হাজার যানবাহন আটকে যায় এবং সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান , শ্রমিকদের প্রধান দাবি হচ্ছে তাদের চাকরির স্থায়ীকরণ, বর্তমান বেতনের সমন্বয় এবং উৎসব ভাতা (ঈদ ও বৈশাখী) সমপরিমাণে প্রদান। এছাড়াও তারা অভিযোগ করেছেন যে, বেশ কিছু অসৎ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সাথে অমানবিক আচরণ করে আসছেন এবং ন্যায্য পাওনা থেকে তাদের বঞ্চিত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানানো হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এরই প্রেক্ষাপটে নিজেদের অধিকার রক্ষায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

ক্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে জরুরি সেবা গ্রহীতারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য সেবা সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং তাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ও প্রশাসনের পদক্ষেপ: এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাদের দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।।

শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যা প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে আন্দোলনরত শ্রমিকদের।