ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈদের ঘরমুখো মানুষের ঢল, যানবাহনের সংকটে চন্দ্রা মোড়ে দুর্ভোগ চরমে ঈদের দুই দিন আগে ছুটি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি মহাসড়কে জরুরি সেবার জন্য ‘হ্যালো অ্যাপ’ চালু: এক ক্লিকেই মিলবে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তা এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: রেলওয়ে উপদেষ্টা নিবন্ধনসহ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত পাচ্ছে জামায়াত ঈদের দিনে ৩ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রযুক্তির পাখায় উড়ছে সম্ভাবনা: আনসার সদস্য আবুল হোসেনের উদ্ভাবনী উড়োজাহাজ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি আইন উপদেষ্টাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি ফুলবাড়ীতে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান মোংলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান

মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় মামলার বাদীর তিন ভাইকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম

চৌধুরী মোঃ ইকবাল হোসেন,বরগুনা থেকেঃ
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৩১ ১৫০.০০০ বার পাঠক

মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় মামলার বাদী মামুন হাওলাদারের তিন ভাইকে আসামী শাহ নেওয়াজ ও অপর আসামীরা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই সময় বাদীর ভাই গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদারের সঙ্গে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা এমন অভিযোগ আহত রাসেলের।

আহত গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার, কাওসার ও ফুয়াদকে স্থানীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে।

জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন দেওয়ান ও তার বাহিনী গাজীপুর বন্দরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওই বন্দরের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের দোকান লুটপাট করে ৬০ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামুন হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ানকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ান। বাতেন দেওয়ান ও মামলার আসামীরা এ মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দেয় মামলার বাদী মামুনকে। কিন্তু বাদী মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করেন। এতে আরো ক্ষুব্দ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বাদীর ভাই গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদারকে আসামী শাহ নেওয়াজ আকন, নিজাম আকন, আনোয়ার আকন, ফিরোজ মৃধা, সামসেল খাঁন, শাহাবুদ্দিন আকন, নাশির আকন ও রোকন আকন লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটেয়ে গুরুতর জখম করেছে।

খবর পেয়ে তার দুই ভাই কাওসার ও ফুয়াদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। ওই সময় রাসেলের সঙ্গে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা তারা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলেন দাবী করেন রাসেল। আহতদের স্থানীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

আহত গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার বলেন, আমি বাড়ী থেকে গাজীপুর বন্দরে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে আমাকে মামলার আসামী শাহ নেওয়াজ আকনের নেতৃত্বে নিজাম আকন, আনোয়ার আকন, ফিরোজ মৃধা, সামসেল খাঁন, শাহাবুদ্দিন আকন, নাশির আকন ও রোকন আকন লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমাকে রক্ষায় আমার দুই ভাই এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমার কাছে ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা ছিল তা ওরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মামলার আসামী শাহ নেওয়াজ আকনের সঙ্গে তার মুঠোফোনে (০১৭৮১৯৬৩৯৬৬) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় মামলার বাদীর তিন ভাইকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম

আপডেট টাইম : ০৩:২৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় মামলার বাদী মামুন হাওলাদারের তিন ভাইকে আসামী শাহ নেওয়াজ ও অপর আসামীরা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই সময় বাদীর ভাই গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদারের সঙ্গে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা এমন অভিযোগ আহত রাসেলের।

আহত গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার, কাওসার ও ফুয়াদকে স্থানীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে।

জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন দেওয়ান ও তার বাহিনী গাজীপুর বন্দরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওই বন্দরের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের দোকান লুটপাট করে ৬০ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামুন হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ানকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ান। বাতেন দেওয়ান ও মামলার আসামীরা এ মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দেয় মামলার বাদী মামুনকে। কিন্তু বাদী মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করেন। এতে আরো ক্ষুব্দ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বাদীর ভাই গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদারকে আসামী শাহ নেওয়াজ আকন, নিজাম আকন, আনোয়ার আকন, ফিরোজ মৃধা, সামসেল খাঁন, শাহাবুদ্দিন আকন, নাশির আকন ও রোকন আকন লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটেয়ে গুরুতর জখম করেছে।

খবর পেয়ে তার দুই ভাই কাওসার ও ফুয়াদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। ওই সময় রাসেলের সঙ্গে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা তারা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলেন দাবী করেন রাসেল। আহতদের স্থানীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

আহত গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার বলেন, আমি বাড়ী থেকে গাজীপুর বন্দরে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে আমাকে মামলার আসামী শাহ নেওয়াজ আকনের নেতৃত্বে নিজাম আকন, আনোয়ার আকন, ফিরোজ মৃধা, সামসেল খাঁন, শাহাবুদ্দিন আকন, নাশির আকন ও রোকন আকন লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমাকে রক্ষায় আমার দুই ভাই এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমার কাছে ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা ছিল তা ওরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মামলার আসামী শাহ নেওয়াজ আকনের সঙ্গে তার মুঠোফোনে (০১৭৮১৯৬৩৯৬৬) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।