ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে রেলওয়ে জংশনের সামনে সিগন্যালের তার সহ ২জন চোর গ্রেফতার মোংলায় সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল মনিরুজ্জামান: গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত// প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর আমাদের জন্য ইতিবাচক ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাড়ির টানে গ্রামে সবাই, রাজধানী ‘ফাঁকা’ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য,পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হোটেল-রিসোর্ট রাফা খালি করে দিতে বলল ইসরাইলি বাহিনী আজমিরীগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত শিশু সহ আহত ৯ আমেরিকা হামলা চালালে ইরানও ‘কঠোর জবাব’ দেবে: খামেনি ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

হবিগঞ্জে নদীর স্বাধীনতা দাবি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ৩২১ ৫০০০.০ বার পাঠক

হবিগঞ্জ সময়েরকন্ঠ।।

হবিগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে নদীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে নেমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশ কর্মী ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তস্নাত যুদ্ধে আমাদের মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করতে ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ এই শ্লোগানটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে অন্যতম ভূমিকা ছিল আমাদের দেশের নদনদীর। যুদ্ধকৌশলে হাতিয়ার হিসেবে নদী ছিল বলেই পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছিল দ্রুত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য যুদ্ধ, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই নদী। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নদীপথকে খুব ভালোভাবে চিনতেন, জানতেন বলেই নদীর পানিতে নাক ভাসিয়ে, অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সকল নদী হয়ে উঠেছিল তখন মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা।

কিন্তু সেই নদীর এখন আর স্বাধীনতা নেই। নদী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে আমাদের নদীগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময় আমাদের অধিকাংশ নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দখল, দূষণ এবং নদীর উপর অত্যাচার- অনাচার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই নদী দখল-দূষণ, সোনাই নদীর উপর স্থাপনা, শিল্পের নামে প্রতিমুহূর্তে সুতাং নদীর বুকে কলকারখানার বিষাক্তবর্জ্য ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মাছ, বরাক নদীকে খাল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করা, খোয়াই, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে, যা এই সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ এই অপরাধ দমনে নেই তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যারা নদীর সাথে অন্যায় করছে তারা এই সময়ের রাজাকার।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন্ত সত্তা নদীর স্বাধীনতা-স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জে নদীর স্বাধীনতা দাবি

আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

হবিগঞ্জ সময়েরকন্ঠ।।

হবিগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে নদীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে নেমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশ কর্মী ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তস্নাত যুদ্ধে আমাদের মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করতে ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ এই শ্লোগানটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে অন্যতম ভূমিকা ছিল আমাদের দেশের নদনদীর। যুদ্ধকৌশলে হাতিয়ার হিসেবে নদী ছিল বলেই পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছিল দ্রুত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য যুদ্ধ, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই নদী। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নদীপথকে খুব ভালোভাবে চিনতেন, জানতেন বলেই নদীর পানিতে নাক ভাসিয়ে, অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সকল নদী হয়ে উঠেছিল তখন মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা।

কিন্তু সেই নদীর এখন আর স্বাধীনতা নেই। নদী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে আমাদের নদীগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময় আমাদের অধিকাংশ নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দখল, দূষণ এবং নদীর উপর অত্যাচার- অনাচার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই নদী দখল-দূষণ, সোনাই নদীর উপর স্থাপনা, শিল্পের নামে প্রতিমুহূর্তে সুতাং নদীর বুকে কলকারখানার বিষাক্তবর্জ্য ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মাছ, বরাক নদীকে খাল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করা, খোয়াই, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে, যা এই সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ এই অপরাধ দমনে নেই তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যারা নদীর সাথে অন্যায় করছে তারা এই সময়ের রাজাকার।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন্ত সত্তা নদীর স্বাধীনতা-স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।