ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
লায়লা ও বাব্বির মিউজিক ভিডিও প্রেম করিবো সুজন চিনে নওগাঁ আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাতি চক্রের অন্যতম সদস্য তারেক হাসান আটক রায়পুরে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় সভা বাবাদের কে উৎসর্গ করে নাইম মুর্তজার নতুন গান খোকা পীরগন্জ সরকারি কলেজের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জৈবসার প্রয়োগ করে জামালপুরে চিচিংগার বাম্পার ফলন বড় ভাইয়ের শাশুড়িকে ধর্ষণ কিশোরগঞ্জ জেলার ৬ষ্ঠ ধাপে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওলাদের প্রত্যাহার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলী সমর্থনে, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী রোড শো করলেন কোলাঘাটে নওগাঁয় পর্নোগ্রাফির দায়ে আটক ৭

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লায়লা ও বাব্বির মিউজিক ভিডিও প্রেম করিবো সুজন চিনে

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।