ব্যাংকে সংকটে নগদ টাকার চাহিদা বেশি গ্রাহকের
- আপডেট টাইম : ০৬:০৭:০৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক
তারল্য সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ধার করার প্রবণতা বেড়েছে। আগের চেয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ধার করছে বেশি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ ধার নিচ্ছে।
এর বাইরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও নিজেদের মধ্য থেকে ধার করছে। ব্যাংকগুলোয় নগদ অর্থের চাহিদা বাড়ায় কলমানির সুদের হার আরও বেড়েছে। এ দফায় কলমানির বা একদিনের জন্য ধারের সুদহার বেড়ে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ শতাংশে উঠেছে।
স্বল্পমেয়াদি ধারের সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ এবং মেয়াদি ধারের সুদহার বেড়ে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশে উঠেছে। আগে এসব খাতে সুদহার আরও কম ছিল।
মঙ্গলবার কলমানিতে ব্যাংকগুলো ধার করেছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ শতাংশ সুদে। সর্বনিম্ন এ হার ছিল পৌনে ৮ শতাংশ। গড় সুদের হার ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। মোট ধার করেছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আগে কলমানির সুদহার ৯ শতাংশের মধ্যে সীমিত ছিল। মাঝেমধ্যে তা সোয়া ৯ শতাংশে উঠেছে। সাড়ে ৯ শতাংশে উঠেছে খুব কমই।
স্বল্পমেয়াদি ধারের সুদহার আগে ছিল সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশে উঠেছে। সর্বনিæ হার ছিল ১০ শতাংশ। মঙ্গলবার স্বল্পমেয়াদি ধার করেছে ২২৫ কোটি টাকা।
মেয়াদি ধারের সুদহার আগে সাড়ে ১০ শতাংশে সীমিত ছিল। এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশে উঠেছে। মঙ্গলবার এ উপকরণে ব্যাংকগুলো ধার করেছে ৩০২ কোটি টাকা।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একদিন ও সাতদিন মেয়াদি উপকরণে সর্বোচ্চ ধার করেছে ১৭ হাজার কোটি এবং রোববার একই উপকরণে ধার করেছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকা দিয়ে ডলার কিনছে। এতে ব্যাংকগুলোর নগদ টাকা আটকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এর বাইরে সরকারকে ঋণের জোগান দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ট্রেজারি বিল বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেও ব্যাংকগুলোর অর্থ সরকারি হিসাবে চলে যাচ্ছে। ওইসব ট্রেজারি বিল এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনরায় কিনে রেপোর আওতায় টাকার জোগান দিচ্ছে।
ব্যাংকগুলোয় আমানত বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখন আমানতের চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি। এতেও ব্যাংকগুলোয় তারল্যে টান পড়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। এতে সুদহার বাড়ছে। এ কারণে কলমানিসহ বিভিন্ন ধার করার উপকরণের সুদহারও বাড়ছে।