ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরে এলো বিমানের ফ্লাইট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ব্রেকিং দিয়ে পুরস্কার পেলেন শফিকুল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ জায়নবাদী শাসন ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে: বিজয়ের ঘোষণা দিলেন খামেনি রিভিউ নিয়ে এবার সফল তাইজুল, বাংলাদেশ পেল ব্রেক থ্রু সাবেক তিন ইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা, উদ্বিগ্ন ইরানিরা আউয়ালের সঙ্গে নুরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ ঘোড়াশালে ভাই ভাই হোটেল ও বেকারিকে জরিমানা জমি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে, এলাকাবাসীর মানবন্ধন

গাজীপুরে স্ত্রীকে ৭ টুকরা করে খুন, স্বামী আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ৪৪৯ ৪৪৯০.০০০ বার পাঠক

সাইফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর।।

গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে গার্মেন্টস কর্মী এক নারীকে ৭ টুকরো করে খুন করেছে তার স্বামী। তিনটি বস্তায় ভর্তি লাশের টুকরোগুলো একটি ঝোপের ভিতর থেকে রবিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম রেহানা আক্তার (২০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিষম্বপুর থানার কচিরগাতি এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং একই এলাকার জুয়েল আহমেদের (২২) স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মৃত আঃ বাতেন মিয়ার ছেলে।

জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, বড় বোনের দেবর জুয়েলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রেহানার। প্রায় দুই বছর আগে তারা ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন। দুই মাস আগে এ দম্পতি গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকার জাকিরের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন এবং স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি নেন।

গত কয়েকদিন ধরে জুয়েল ও রেহানার মাঝে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে তাদের ঝগড়া বিবাদ হয়। এ সময় রেহানাকে মারধর করে জুয়েল। এতে রেহানা অচেতন হয়ে পড়ে। ঘটনার পর রাতে জুয়েল ধারালো ছুরি দিয়ে রেহানার গলা কেটে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে খুন করে। পরে কোমর, দুই পায়ের হাঁটু ও দেহ থেকে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে মোট সাত টুকরো করে। এরপর লাশের টুকরোগুলো কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ৩টি বস্তায় ভর্তি করে। বস্তাগুলো বাসার পার্শ্ববর্তী একটি স্যাপ্টিক ট্যাংক সংলগ্ন ঝোপের ভেতর লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে থাকে জুয়েল।

রবিবার দুপুরে দুর্গন্ধের সূত্রধরে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায় এবং জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিনটি বস্তায় ভর্তি নিহত রেহানার ৭ টুকরো লাশ বিকেলে উদ্ধার করে। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ জুয়েলকে আটক করে।ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে স্ত্রীকে ৭ টুকরা করে খুন, স্বামী আটক

আপডেট টাইম : ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

সাইফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর।।

গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে গার্মেন্টস কর্মী এক নারীকে ৭ টুকরো করে খুন করেছে তার স্বামী। তিনটি বস্তায় ভর্তি লাশের টুকরোগুলো একটি ঝোপের ভিতর থেকে রবিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম রেহানা আক্তার (২০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিষম্বপুর থানার কচিরগাতি এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং একই এলাকার জুয়েল আহমেদের (২২) স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মৃত আঃ বাতেন মিয়ার ছেলে।

জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, বড় বোনের দেবর জুয়েলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রেহানার। প্রায় দুই বছর আগে তারা ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন। দুই মাস আগে এ দম্পতি গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকার জাকিরের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন এবং স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি নেন।

গত কয়েকদিন ধরে জুয়েল ও রেহানার মাঝে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে তাদের ঝগড়া বিবাদ হয়। এ সময় রেহানাকে মারধর করে জুয়েল। এতে রেহানা অচেতন হয়ে পড়ে। ঘটনার পর রাতে জুয়েল ধারালো ছুরি দিয়ে রেহানার গলা কেটে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে খুন করে। পরে কোমর, দুই পায়ের হাঁটু ও দেহ থেকে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে মোট সাত টুকরো করে। এরপর লাশের টুকরোগুলো কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ৩টি বস্তায় ভর্তি করে। বস্তাগুলো বাসার পার্শ্ববর্তী একটি স্যাপ্টিক ট্যাংক সংলগ্ন ঝোপের ভেতর লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে থাকে জুয়েল।

রবিবার দুপুরে দুর্গন্ধের সূত্রধরে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায় এবং জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিনটি বস্তায় ভর্তি নিহত রেহানার ৭ টুকরো লাশ বিকেলে উদ্ধার করে। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ জুয়েলকে আটক করে।ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।