ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় আড়াই ঘণ্টা ব্ল্যাক আউট! কালিয়াকৈরে শ্রমিক অসন্তোষ: মহাসড়ক অবরোধ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৫৬ স্থাপনা: ৮০কোটি টাকা মূল্যের বনভূমি উদ্ধার বিরামপুরে বিজিবি কর্তৃক ৫৭০ বোতল যৌন উত্তেজক সিরাপ আটক সাভার মডেল থানার কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অসৎ পুলিশ সদস্যের নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদক ব্যবসা পর্ব – ২ সিলেট বিমানবন্দর থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট চালু হচ্ছে রোববার রাত্রে জাঁকজমক ভাবে কর্মী সভা উদযাপন পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে লাখো মানুষের সমাগম ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে সৌদি আরব ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে জামায়াতের অবদান সবার স্মরণে থাকবে: আলী রীয়াজ

সমাবেশের আগের রাতেই সরগরম গুলিস্তান-নয়া পল্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্দোলনের ‘মহাযাত্রা’র ঘোষণা দিয়ে রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ শনিবার। একই দিন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেরও শান্তি সমাবেশ। ‘লাখো মানুষের’ জমায়েতের ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এ সমাবেশের আগের রাত থেকেই দলীয় কার্যালয় সমাবেশস্থলে ভিড় করছেন নেতাকর্মীরা।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনের মঞ্চকে ঘিরে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে গুলিস্তান ও নয়া পল্টন এলাকা।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আসতে শুরু করেন ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত যত বাড়তে থাকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তাঁতী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগেরও একাধিক মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবারের শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় এখানে এসেছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, আমরা যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করেত প্রস্তুত। বিএনপি জামায়াতের যেকোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।

এদিকে মহাসমাবেশের আগের রাতেই নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে দলীয় কার্যালয় ও সমাবেশস্থল নয়া পল্টনে। সেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হ্যান্ড মাইকে করে বক্তব্য রাখছেন। সেই সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন নানা স্লোগান।

সেখানে বিএনপির নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীকে নেতাকর্মীদের মধ্যে খিচুরি বিতরণ করতেও দেখা যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করেছি আমাদের এই ভাইয়েরা যারা এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। এটি মনে করে আমরা এই আয়োজন করেছি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। উভয় দলকেই ২০টি করে শর্ত দিয়েছে পুলিশ। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। শুক্রবার রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।

শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাতে জানান, কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আওয়ামী লীগকেও তাদের পছন্দের জায়গা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সমাবেশের আগের রাতেই সরগরম গুলিস্তান-নয়া পল্টন

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

আন্দোলনের ‘মহাযাত্রা’র ঘোষণা দিয়ে রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ শনিবার। একই দিন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেরও শান্তি সমাবেশ। ‘লাখো মানুষের’ জমায়েতের ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এ সমাবেশের আগের রাত থেকেই দলীয় কার্যালয় সমাবেশস্থলে ভিড় করছেন নেতাকর্মীরা।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনের মঞ্চকে ঘিরে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে গুলিস্তান ও নয়া পল্টন এলাকা।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আসতে শুরু করেন ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত যত বাড়তে থাকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তাঁতী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগেরও একাধিক মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবারের শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় এখানে এসেছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, আমরা যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করেত প্রস্তুত। বিএনপি জামায়াতের যেকোনো অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।

এদিকে মহাসমাবেশের আগের রাতেই নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে দলীয় কার্যালয় ও সমাবেশস্থল নয়া পল্টনে। সেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হ্যান্ড মাইকে করে বক্তব্য রাখছেন। সেই সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন নানা স্লোগান।

সেখানে বিএনপির নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীকে নেতাকর্মীদের মধ্যে খিচুরি বিতরণ করতেও দেখা যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করেছি আমাদের এই ভাইয়েরা যারা এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। এটি মনে করে আমরা এই আয়োজন করেছি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। উভয় দলকেই ২০টি করে শর্ত দিয়েছে পুলিশ। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। শুক্রবার রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।

শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাতে জানান, কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আওয়ামী লীগকেও তাদের পছন্দের জায়গা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।