ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: র সালাহউদ্দিন আহমেদ ওআইসি সম্মেলনে ইসলামাবাদের বক্তব্য ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের গাজীপুরের আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ইসরাইলজুড়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১১ শ্রীপুর ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি, পথসভায় ফ্যাসিস্টের মত জানালেন ‘ শুভেচ্ছা’ নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব পেলো মোংলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বাংলাদেশকে নিয়ে তুর্কি সাংবাদিকের প্রবন্ধ, যা বলল অন্তর্বর্তী সরকার হল ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মারামারি’ শিখতে এসে তিনি এখন ‘কারাতে মাস্টার’ কারাতে কম দেয়নি হোসেন আলীকে—বাঁচতে শেখার পাশাপাশি

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

এ,জেড,এম উজ্জ্বল; পটুয়াখালী জেলা প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৮৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।