ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

এ,জেড,এম উজ্জ্বল; পটুয়াখালী জেলা প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাউফলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ মাছের ঘের করে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন।

ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর ১২:৩০ এর দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই খাস জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন।

ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হয়েছে তাই সরকারি লোকজন জমির দখল নিয়ে নিয়েছে।