ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু

গোবিন্দগঞ্জের রাখালবুরুজ কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে চরমে

আবু তারেক গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ৩টি পদের নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িত আসামীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি প্রদানসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক নতুন করে গোপন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করায় নতুন করে দ্বন্দ্বে আশংকা দেখা দিয়েছে । গোবিন্দগঞ্জ থানার মামলাও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপুকে গত ০৬ আগষ্ট বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসেন ও কাজী মতলুবর রহমান গংরা বিদ্যালয়ে গিয়ে অফিস সহকারী,অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেওয়ার জন্য রেজুলেশন খাতায় সাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরি এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু কর্তৃক সভাপতিকে ধার হিসাবে দেয়া ৪লাখ ৮হাজার,৫ শত টাকা চাইলে বাকবিতান্ডা হয় ও মারপিট করে। এতে অভিমান করে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আফরোজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বাদী আফরোজা বেগম জানান, আমার স্বামীকে যারা মারিপট,নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনা করেছে, সেই আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার,ফাঁসি চাই। ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির টিআর সদস্য মোতাকাব্বের জানান, প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু আত্মহত্যার দিনে বিদ্যালয় চলাকালীন বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কোন রেজুলেশন হয়নি। এমনকি আমরা ৩জন টিআর সদস্য কেউ রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিনি। ম্যানেজিং কমিটির সংরক্ষিত টিআর সদস্য আফরোজা বেগম বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে ওই দিন সভাপতি ও তার সাথে আসা বহিরাগত ২ জন লোকের বাকবিতান্ডা হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন হয়নি,স্বাক্ষর করিনি।একই কথা জানান, অপর টিআর সদস্য আবু তালেব। ৩টি নিয়োগ বিষয়ে দ্বন্দের ব্যাপারে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি সবে মাত্র দায়িত্ব পেয়েছি, আমি নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাজপত্র বিদ্যালয়ের আলমারিতে পাইনি।আমিও উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। গোপন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার পায়তারা বিষয়ে প্রশ্ন? করলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই। নতুন করে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা ও মামলার বাদীকে হুমকির বিষয়ে কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধানশিক্ষক আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামী কাজী দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলে জানতে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যার প্ররোচনার আসামীরা সবাই জামিনে আছে। এ মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার শাহালম পারভেজ বলেন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের আত্বহত্যার প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে। এবং ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের, এখনতো ৩টি নিয়োগের মুল কাগজপত্র বিদ্যালয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারনে তাদেরকে বিদ্যালয় নিয়োগ পত্র প্রদান করতে পাচ্ছেন না। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়টির অবকাঠামো নাযুক অবস্থা, ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ দেয়ার কথা বলে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কিছুই অবদান না রাখায় দীর্ঘ দিন থেকে নিয়োগ নিয়ে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। আবারও গোপনপ্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করায় নতুন করে দ্বন্দ্বের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।দ্ব›দ্ব নিরসনসহ আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবীতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জের রাখালবুরুজ কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে চরমে

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ৩টি পদের নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িত আসামীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি প্রদানসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক নতুন করে গোপন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করায় নতুন করে দ্বন্দ্বে আশংকা দেখা দিয়েছে । গোবিন্দগঞ্জ থানার মামলাও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপুকে গত ০৬ আগষ্ট বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসেন ও কাজী মতলুবর রহমান গংরা বিদ্যালয়ে গিয়ে অফিস সহকারী,অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেওয়ার জন্য রেজুলেশন খাতায় সাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরি এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু কর্তৃক সভাপতিকে ধার হিসাবে দেয়া ৪লাখ ৮হাজার,৫ শত টাকা চাইলে বাকবিতান্ডা হয় ও মারপিট করে। এতে অভিমান করে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী আফরোজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বাদী আফরোজা বেগম জানান, আমার স্বামীকে যারা মারিপট,নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনা করেছে, সেই আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার,ফাঁসি চাই। ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির টিআর সদস্য মোতাকাব্বের জানান, প্রধান শিক্ষক কাজী রাশেদুর রহমান লিপু আত্মহত্যার দিনে বিদ্যালয় চলাকালীন বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কোন রেজুলেশন হয়নি। এমনকি আমরা ৩জন টিআর সদস্য কেউ রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিনি। ম্যানেজিং কমিটির সংরক্ষিত টিআর সদস্য আফরোজা বেগম বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে ওই দিন সভাপতি ও তার সাথে আসা বহিরাগত ২ জন লোকের বাকবিতান্ডা হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন হয়নি,স্বাক্ষর করিনি।একই কথা জানান, অপর টিআর সদস্য আবু তালেব। ৩টি নিয়োগ বিষয়ে দ্বন্দের ব্যাপারে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি সবে মাত্র দায়িত্ব পেয়েছি, আমি নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাজপত্র বিদ্যালয়ের আলমারিতে পাইনি।আমিও উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। গোপন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার পায়তারা বিষয়ে প্রশ্ন? করলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই। নতুন করে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা ও মামলার বাদীকে হুমকির বিষয়ে কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধানশিক্ষক আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামী কাজী দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলে জানতে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যার প্ররোচনার আসামীরা সবাই জামিনে আছে। এ মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার শাহালম পারভেজ বলেন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের আত্বহত্যার প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে। এবং ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের, এখনতো ৩টি নিয়োগের মুল কাগজপত্র বিদ্যালয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারনে তাদেরকে বিদ্যালয় নিয়োগ পত্র প্রদান করতে পাচ্ছেন না। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়টির অবকাঠামো নাযুক অবস্থা, ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ দেয়ার কথা বলে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কিছুই অবদান না রাখায় দীর্ঘ দিন থেকে নিয়োগ নিয়ে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। আবারও গোপনপ্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করায় নতুন করে দ্বন্দ্বের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।দ্ব›দ্ব নিরসনসহ আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবীতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।