ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০

ফুলবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় তরুণীর অবস্থা আশংকাজনক অভিযোগ দায়ের

কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ১৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভুল চিকিৎসায় ২১ বছরের এক তরুণীর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং তরুণীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারের কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট পরিচালক ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর অজ্ঞতা ও অনৈতিকতার কারণে তরুনীর সমস্ত শরীর বিভৎস আকার ধারণ করিয়াছে, যে কেউ তাকে দেখলে ভয় পাবে। তার শরীরের অবস্থাও আশংকাজনক।

ভুক্তভোগী তরুণীটির নাম মোছা. সুরাইয়া ফাতেমা। তরুণীটি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আটারদান গ্রামের মো. সেলিম রানার মেয়ে। তার মায়ের নাম মোছা. জেসমিন আক্তার।

ভুক্তভোগীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে আমার মেয়ের শরীরে এলার্জি ও চর্মরোগ দেখা দেয়। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই এবং ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান কে দেখাই। তিনি আমার মেয়ের অসুস্থতা দেখে বলেন, আমার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাইলে মেয়ের রোগ ভাল হবে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে ৪ মাস ঔষুধ খাওয়াই। আমার নিকট থেকে ৪ মাসে ভিজিট ও ঔষুধ বাবদ ১২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র) টাকা নেয় ডাক্তার। কিন্তু এই ৪ মাসে আমার মেয়ে সুস্থ হয়নি বরং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মেয়ের সুন্দর চেহারা বিশ্রী হয়ে গিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারিছি না।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুন ২০২৩ মেয়ের শরীরের অবস্থা বেগতিক খারাপ দেখে আমরা পরিবারের লোকজনসহ ক্লিনিকে গিয়ে মেয়ের শরীরের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। আমরা মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, যে মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমাদের সাথে বাকবিতন্ড হয় এবং তিনি আমাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করি নাই, আপনারা যা পারেন গিয়ে করেন। আমরা তার ব্যবস্থাপত্র দেখাইতে চাইলেও তিনি তা দেখতে চাননি এবং বলেন এগুলো আমার ব্যবস্থাপত্র না। আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করিনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসারx ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন ঘটনার তদন্ত চলমান তদন্ত হওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফুলবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় তরুণীর অবস্থা আশংকাজনক অভিযোগ দায়ের

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

ভুল চিকিৎসায় ২১ বছরের এক তরুণীর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং তরুণীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারের কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট পরিচালক ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর অজ্ঞতা ও অনৈতিকতার কারণে তরুনীর সমস্ত শরীর বিভৎস আকার ধারণ করিয়াছে, যে কেউ তাকে দেখলে ভয় পাবে। তার শরীরের অবস্থাও আশংকাজনক।

ভুক্তভোগী তরুণীটির নাম মোছা. সুরাইয়া ফাতেমা। তরুণীটি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আটারদান গ্রামের মো. সেলিম রানার মেয়ে। তার মায়ের নাম মোছা. জেসমিন আক্তার।

ভুক্তভোগীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে আমার মেয়ের শরীরে এলার্জি ও চর্মরোগ দেখা দেয়। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই এবং ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান কে দেখাই। তিনি আমার মেয়ের অসুস্থতা দেখে বলেন, আমার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাইলে মেয়ের রোগ ভাল হবে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে ৪ মাস ঔষুধ খাওয়াই। আমার নিকট থেকে ৪ মাসে ভিজিট ও ঔষুধ বাবদ ১২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র) টাকা নেয় ডাক্তার। কিন্তু এই ৪ মাসে আমার মেয়ে সুস্থ হয়নি বরং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মেয়ের সুন্দর চেহারা বিশ্রী হয়ে গিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারিছি না।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুন ২০২৩ মেয়ের শরীরের অবস্থা বেগতিক খারাপ দেখে আমরা পরিবারের লোকজনসহ ক্লিনিকে গিয়ে মেয়ের শরীরের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। আমরা মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, যে মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমাদের সাথে বাকবিতন্ড হয় এবং তিনি আমাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করি নাই, আপনারা যা পারেন গিয়ে করেন। আমরা তার ব্যবস্থাপত্র দেখাইতে চাইলেও তিনি তা দেখতে চাননি এবং বলেন এগুলো আমার ব্যবস্থাপত্র না। আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করিনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসারx ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন ঘটনার তদন্ত চলমান তদন্ত হওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।