ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

ভিক্ষা করে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন ”বাবা’

সন্তানকে সব চেয়ে বেশী আদর যত্ন করেন বাবা-মা।পৃথিবীতে সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। সন্তানের সুখের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করতে পারে না বাবা মা। সন্তানের সুখ,শান্তি আর খুশির জন্য বড় বড় আত্মত্যাগ করতে রাজি থাকেন বাবা-মা। নিজেরা লেখাপড়া না জানলেও তারা চান সন্তান লেখাপড়া করে, মানুষের মতো মানুষ হোক। আর সন্তানের সুখের জন্য নিজে হাজার দুঃখ রাজি সহ্য করতেও রাজি থাকেন বাবা-মা। মোঃ লাল মিয়া লেখাপড়া তার কপালে জুটেনি।ধন সম্পদও তেমন নেই তার। বয়সও প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি । ছেলে-মেয়ের চিন্তায় নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই তাঁর। ছেলে মেয়ের পড়াশোনা আর হোস্টেলের খরচ জোগানোর জন্য ধারে ধারে করেন ভিক্ষা। তিনি নাসিরনগর ও পাশের উপজেলা সরাইল সহ বিভিন্ন শহর গ্রামের এ মাথা থেকে ওমাথা ঘুরে বেড়ান ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে। তিনি জানান তার ৩ মেয়ে ২ ছেলের মধ্যে ১ম মেয়ে মোছাঃ রোখসানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছে।

২য় মেয়ে মোছা: সনজিদা আক্তার দশম শ্রেনীতে ও ৩য় মেয়ে মোছা: নূরন্নাহার ৯ম শ্রেণিতে ও,ছেলে ইউসুফ ৭ ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

মোঃ লাল মিয়া এত কষ্ট করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করেন কেন? আপনার ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করাচ্ছেন জানতে চাইল তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতি অচল। শিক্ষিত না হলে তারা বড় হবে কি ভাবে? আমি চাইনা তারা আমার মত অশিক্ষিত হয়ে বড় হোক।

মোঃ লাল মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্রীঘর গ্রামে। তিনি একজন হত দরিদ্র ভিক্ষুক। তবে এত দরিদ্র তিনি ছিলেন না। ওই গ্রামেরই প্রভাবশালীরা তার জায়গা জমি অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক জবর দখল করে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানতাম না,তাই এমন হয়েছে। তাই শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবন যুদ্ধে এত সহজে হার মানতে চাননা সংগ্রামী ভিক্ষুক কুদ্দুছ মিয়া।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ভিক্ষা করে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন ”বাবা’

আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

সন্তানকে সব চেয়ে বেশী আদর যত্ন করেন বাবা-মা।পৃথিবীতে সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। সন্তানের সুখের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করতে পারে না বাবা মা। সন্তানের সুখ,শান্তি আর খুশির জন্য বড় বড় আত্মত্যাগ করতে রাজি থাকেন বাবা-মা। নিজেরা লেখাপড়া না জানলেও তারা চান সন্তান লেখাপড়া করে, মানুষের মতো মানুষ হোক। আর সন্তানের সুখের জন্য নিজে হাজার দুঃখ রাজি সহ্য করতেও রাজি থাকেন বাবা-মা। মোঃ লাল মিয়া লেখাপড়া তার কপালে জুটেনি।ধন সম্পদও তেমন নেই তার। বয়সও প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি । ছেলে-মেয়ের চিন্তায় নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই তাঁর। ছেলে মেয়ের পড়াশোনা আর হোস্টেলের খরচ জোগানোর জন্য ধারে ধারে করেন ভিক্ষা। তিনি নাসিরনগর ও পাশের উপজেলা সরাইল সহ বিভিন্ন শহর গ্রামের এ মাথা থেকে ওমাথা ঘুরে বেড়ান ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে। তিনি জানান তার ৩ মেয়ে ২ ছেলের মধ্যে ১ম মেয়ে মোছাঃ রোখসানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছে।

২য় মেয়ে মোছা: সনজিদা আক্তার দশম শ্রেনীতে ও ৩য় মেয়ে মোছা: নূরন্নাহার ৯ম শ্রেণিতে ও,ছেলে ইউসুফ ৭ ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

মোঃ লাল মিয়া এত কষ্ট করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করেন কেন? আপনার ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করাচ্ছেন জানতে চাইল তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতি অচল। শিক্ষিত না হলে তারা বড় হবে কি ভাবে? আমি চাইনা তারা আমার মত অশিক্ষিত হয়ে বড় হোক।

মোঃ লাল মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্রীঘর গ্রামে। তিনি একজন হত দরিদ্র ভিক্ষুক। তবে এত দরিদ্র তিনি ছিলেন না। ওই গ্রামেরই প্রভাবশালীরা তার জায়গা জমি অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক জবর দখল করে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানতাম না,তাই এমন হয়েছে। তাই শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবন যুদ্ধে এত সহজে হার মানতে চাননা সংগ্রামী ভিক্ষুক কুদ্দুছ মিয়া।