ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবিলায় লামা উপজেলার সার্বিক প্রস্তুতি
- আপডেট টাইম : ০১:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
- / ১৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা” প্রবল ঝড়ো হাওয়া,বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস কারণে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ১০ নং মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এখনও চট্রগ্রাম বিভাগ ঝুঁকিতে রয়েছে। সেক্ষেত্রে মোখা মেকাবিলায় লামা উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, লামা পৌরসভা,পিআইও অফিস,স্বাস্থ্য বিভাগ,ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার এর নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম গঠন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছে। লামার ১টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নে ৫৩ টি অস্থায়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্র (বেশিভাগ স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজ) খোলা হয়েছে। এবং বান্দরবান জেলা প্রশাসক হতে ইতিমধ্যেই ৫ (পাঁচ) মে.টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জরুরী প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নম্বর এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এটির সবসময় সার্বিক খোঁজ-খবর ও দেখভাল করছেন লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল,লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, দুই ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী দাশ, মোঃ জাহেদ উদ্দীন,থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সকল ইউপি চেয়ারম্যান,কাউন্সিলর, ইউপি সদস্যবৃন্দ,পুলিশ বিভাগ, রাজনৈতিক দল, যুবরেড ক্রিসেন্ট টিম।
এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ, কুড়েঘর বসবাসরত লোকদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়ার জন্য বার বার সচেতনতামূলক মাইকিং প্রচার করছেন লামা তথ্য অফিস,লামা পৌরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার- প্রচারণা হচ্ছে।
আজও পৌর এলাকায় সচেতনতায় মাইকিং প্রচার এ লামার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম,ছাত্রলীগ ও যুব রেড ক্রিসেন্ট এর সদস্যরা টহল দিতে দেখা যায়।
আরও উপকূলের পাশাপাশি পার্বত্য বান্দরবানে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কেননা, এ অঞ্চলে ভূমি মাটি পাললিক শিলা দিয়ে গঠিত। এখানকার পাহাড় কাটা হচ্ছে। মাটি গুলো তেমন শক্ত নয়। এগুলো অল্প পানিতে বা সেখানে ভারী বৃষ্টি হলে মাটি গলে যাবে। ফলে জান -মালের ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতে পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে লামায় প্রাণহানি ঘটনাও হয়েছিল।
এদিকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার সার্বিক তত্বাবধানে ইউনিয়ন পর্যায়ে পৃথক পৃথক মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, ঘুর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবিলায় আমারা সবসময় সার্বিকভাবে পরিস্থিতি মনিটরিং ও কাজ করছি।