মোখা’র মোকাবেলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ
- আপডেট টাইম : ০৬:০৭:১২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
- / ১৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার সকাল থেকে দুপুরের মাঝে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে । সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতোমধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ উপকুলের দিকে এগিয়ে আসছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মোখার তীব্রতা বাড়তে থাকায় আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে।
আট নম্বর বিপদ সংকেত হল বন্দর সর্বোচ্চ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৭৯ কিলোমিটার বা বেশি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় মোখা ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে। এটি আরও উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ১৪ মে সকাল ছয়টা হতে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে উপকূলের মানুষের জীবন ও ধন-সম্পদ রক্ষার্থে এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সার্বিক সহায়তায় সকল পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় বিশেষ প্রস্তুতি হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার কতৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহঃ
১। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় পাঁচ লাখ ছয় হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করে ৫৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
২। উপকূলের শেল্টারগুলোয় ৪৯০ মেট্রিক টন চাল , ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুত ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৩। ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৪। আহত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসহায়তার জন্যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
৫। গৃহপালিত পশুদের জন্য মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
৬। বন্দর এলাকায় ও উপকূলে বিপদ সংকেত ও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে ।
৭। উপকূল ও দূর্গত এলাকায় অন্তত ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
৮। উপকূলের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে সচেতনতা ও সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৯। সকল ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা মোকাবেলা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
১০। ছুটির দিনেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে
১১। দুর্গত এলাকার লোকজনকে সরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ও সরঞ্জাম সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
১২। দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের রেসকিউ টিম, রেসকিউ বোট, মেডিকেল টিম ও কমান্ডো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।