ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল’র বাক স্বাধীনতা হরণ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চামড়া শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সারাদেশে ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি’ গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটকের কারণ কী, যা বলছে ইসরাইল ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন

নাসিরনগরে গ্রিলকেটে পালিয়ে গেছে দুই চোর

সুমন গোপ, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ১৬৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে নৌকা চুরির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরে দুই নৌকা চোরকে নৌকা সহ হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা |

বুধবার ভোর রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ থেকে ৪ চোর মিলে একটি ইঞ্জিন চালিত ষ্টিলের নৌকা নিয়ে পালিয়ে আসে গোয়ালনগরে। ঘাটে নৌকা না পেয়ে মালিক পক্ষ খুঁজতে থাকে। নদীতে খুঁজতে খুঁজতে অপর একটি নৌকা নিয়ে তাদেরকে ধরার জন্য চোরের পিছে ধাওয়া করে। নৌকার তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় ৪ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় চোরের দল গোয়ালনগর বাজারের একটু অদূরে নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে নৌকা ভিড়ায়। তখন পিছু ধাওয়াকারি মালিকগণ তাদের দেখে ফেলে। চোরদের মধ্যে দুই জন মালিক পক্ষ দেখে ফেলেছে টের পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
নৌকার মালিক পক্ষের কাছে জানতে পেরে অপর দুই জন কে নৌকা সহ হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের কিছু মারধর করে। জানা গেছে পরে ওই দুই নৌকা চোরকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থ্নীয় একটি বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তরের পর চোরদের থানায় সোপর্দ না করে চেয়ারম্যান আজহারুল হক চোরের বউদের খবর দিয়ে তার বাড়িতে এনে চোরদের ছেড়ে দেয়ার শর্তে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। চোরের বউয়েরা পরদিন টাকা নিয়ে আসবে বলে কথা দিয়ে চলে যায়।পরে চোরদের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে রাতে চোরেরা ঘরের গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

গ্রিল কেটে দুই চোর বিষয়ে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান আজহারুল হকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন নৌকাটি মালিক পক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।নৌকার মালিককে মামলা করার জন্য বলা হলে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি। আমি সেই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সির সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাগজ পত্রে সই স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন।

চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই সি মোঃ আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাথে চেয়ারম্যানের এমন ধরনের কোন কথাবার্তা হয়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাসিরনগরে গ্রিলকেটে পালিয়ে গেছে দুই চোর

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে নৌকা চুরির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরে দুই নৌকা চোরকে নৌকা সহ হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা |

বুধবার ভোর রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ থেকে ৪ চোর মিলে একটি ইঞ্জিন চালিত ষ্টিলের নৌকা নিয়ে পালিয়ে আসে গোয়ালনগরে। ঘাটে নৌকা না পেয়ে মালিক পক্ষ খুঁজতে থাকে। নদীতে খুঁজতে খুঁজতে অপর একটি নৌকা নিয়ে তাদেরকে ধরার জন্য চোরের পিছে ধাওয়া করে। নৌকার তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় ৪ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় চোরের দল গোয়ালনগর বাজারের একটু অদূরে নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে নৌকা ভিড়ায়। তখন পিছু ধাওয়াকারি মালিকগণ তাদের দেখে ফেলে। চোরদের মধ্যে দুই জন মালিক পক্ষ দেখে ফেলেছে টের পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
নৌকার মালিক পক্ষের কাছে জানতে পেরে অপর দুই জন কে নৌকা সহ হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের কিছু মারধর করে। জানা গেছে পরে ওই দুই নৌকা চোরকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থ্নীয় একটি বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তরের পর চোরদের থানায় সোপর্দ না করে চেয়ারম্যান আজহারুল হক চোরের বউদের খবর দিয়ে তার বাড়িতে এনে চোরদের ছেড়ে দেয়ার শর্তে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। চোরের বউয়েরা পরদিন টাকা নিয়ে আসবে বলে কথা দিয়ে চলে যায়।পরে চোরদের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে রাতে চোরেরা ঘরের গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

গ্রিল কেটে দুই চোর বিষয়ে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান আজহারুল হকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন নৌকাটি মালিক পক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।নৌকার মালিককে মামলা করার জন্য বলা হলে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি। আমি সেই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সির সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাগজ পত্রে সই স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন।

চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই সি মোঃ আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাথে চেয়ারম্যানের এমন ধরনের কোন কথাবার্তা হয়নি।